সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা :  মাঝ আষাঢ়ে শহরে বৃষ্টির তুমুল দাপট। মঙ্গবার রাত থেকে চলছে অবিরাম বৃষ্টি । বেলা বাড়লেও মেঘ কাটার নাম নেই। সেই সঙ্গে চলছে কড়কড় শব্দে বজ্রপাত। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বেলা অবধি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে চলবে বৃষ্টি। রাতভর বৃষ্টিতে জল থইথই কলকাতার বহু রাস্তা। আরও বৃষ্টি হলে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলি আরও জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ। 



বেশ কিছু রাস্তায় জল জমা থাকায় গাড়ির গতি বেশ কম। অফিসটাইমে তৈরি হয়েছে যানজটের আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাত দুটো থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত, ৪ ঘণ্টায়



  • গড়িয়ার কামডহরি এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১১ মিলিমিটার

  • বালিগঞ্জে ৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৫৯ মিলিমিটার

  • রাত দুটো থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ধাপায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার

  • তপসিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৭ মিলিমিটার

  • উল্টোডাঙায় বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার

  • মোমিনপুরে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২৪ মিলিমিটার

  • ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মানিকতলাতেও

  • ঠনঠনিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ২৩ মিলিমিটার

  • দত্তবাগানে বৃষ্টি হয়েছে সাড়ে ১৮ মিলিমিটার

    শুধু কলকাতা , হাওড়া, দুই চব্বিশ পরগনাই নয়, বৃষ্টিতে ভিজছে গোটা দক্ষিণবঙ্গই। বুধবার সারাদিন বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বেশি বৃষ্টি হতে পারে 

  • ঝাড়গ্রাম

  • পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর 

  • দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে।

    বৃহস্পতিবার  থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে ধাপে ধাপে বাড়বে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। শনিবারের  মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।  

    কেন এত বেশি বৃষ্টি ?  

  • বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি এখন ছত্তীসগড়ে অবস্থান করছে। এই নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে। এই নিম্নচাপ ক্রমশ মধ্যপ্রদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে বঙ্গোপসাগরের ওপর। একটি উপকুল অক্ষরেখা রয়েছে গুজরাট থেকে কেরালা উপকূল পর্যন্ত। এই ৩ সিস্টেমের হাত ধরে এ রাজ্যে আপাতত অত্যন্ত সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। তাই এই ভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। 

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে উপরের পাঁচটি জেলা ও মালদা ও দুই দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এছাড়া দু এক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।