আবির দত্ত ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে, OMR শিটে নম্বর বদল হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপককে তলব করল সিবিআই (CBI)। আজ ও আগামীকাল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ২০ জন চাকরিপ্রাপককে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে এসে হাজিও হয়েছেন। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সেটাও রেকর্ড করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, OMR শিটে নম্বর বদল হয়েছে ৬৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চাকরিপ্রার্থীদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।
নম্বর বদল হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যর নির্দেশে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যই নির্দেশনামায় উল্লেখ আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের। গতকাল কেস ডায়েরিতে সিবিআই দাবি করে, ৬৬৭ জনের OMR শিটের নম্বর বদল হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যর নির্দেশে। সিবিআইয়ের দেওয়া এই তথ্যই নির্দেশনামায় তুলে ধরেছেন সিবিআই আদালতের বিচারক শেখ কালামউদ্দিন। গতকাল শুনানির সময় তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। নির্দেশনামাতেও তার উল্লেখ রয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
যাঁরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার করছেন না কেন?
এরাও তো বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ। ৬৭৭ জনের মধ্যে কেন শুধু ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে? বাকিদের কবে বয়ান রেকর্ড হবে? নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার CBI-এর উদ্দেশে গতকাল এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই ছুড়ে দেন আলিপুর কোর্টের বিচারক শেখ কালামুদ্দিন। সোমবার, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ২টি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মিডলম্যান প্রসন্ন রায়-সহ ৭ জনকে আলিপুর কোর্টে পেশ করা হয়। SSC-র নবম-দশমে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় CBI-এর তদন্তকারী অফিসার কোর্টে জানান, নম্বরে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ৬৭৭ জনের হদিশ মিলেছে। তারমধ্যে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে অনেক তথ্য।
এরপরই বিচারক শেখ কালামুদ্দিন প্রশ্ন করেন, ৬৭৭ জনের মধ্যে শুধু ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে? এদের গ্রেফতার করলেন না কেন? গ্রেফতার করেও তো বয়ান রেকর্ড করা যেত! তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে? যার পরই মঙ্গলবার থেকে OMR শিটে নম্বর বদল হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপককে তলব করল সিবিআই।
আরও পড়ুন- যখন জানলেন পাশ করেছেন, তখন পেরিয়েছে বয়স, কেউ জেনারেল হয়েও সংরক্ষিত লিস্টে !