পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচিতে বাঁকুড়ার (Bankura) আঙ্গারিয়া গ্রামে অস্বস্তির মুখে পড়ল তৃণমূল (TMC) মহিলা কংগ্রেস। ভোট দেব কিন্তু রাস্তা, পানীয় জলের হাল ফিরবে তো? গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত। কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।


২০২১’এর বিধানসভা ভোটে (Assembly Election 2021) যে মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক ডিভিডেন্ট দিয়েছিল। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সেই মহিলা ভোটকেই পাখির চোখ করছে তৃণমূল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট। এই অবস্থায়, ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচিতে বাঁকুড়ার আঙ্গারিয়া গ্রামে অস্বস্তির মুখে পড়ল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস।


'দিদিরই হোঁচট লাগবে'


পানীয় জল থেকে রাস্তা, সবেরই তথৈবচ অবস্থা। ভোট দেব, কিন্তু এসবের হাল ফিরবে তো? গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী। 'রাস্তা আপনাদের দেওয়া হয়েছে' জানাতেই জনৈক গ্রামবাসীদের কথা, 'এখানে দিদি এলে দিদিরই হোঁচট লাগবে। আপনারই হোঁচট লাগবে।' স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা-আলো থেকে আমরা বঞ্চিত। ভারত স্বাধীন হয়েছে। আমরা হইনি। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী জানাচ্ছেন, আমি তো সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। মানুষকে কী বলব আমরা। যে মানুষ আরও ভোট দিক। সব জায়গায় জানিয়েছি।


সমস্যা সমাধানের আশ্বাস


গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগের মুখে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত বলেছেন, 'আদিবাসী পরিবার থেকে মন্ত্রী হয়েছি। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনব।' পাল্টা বিজেপির বাঁকুড়া (১) মণ্ডল সভাপতি বিকাশ ঘোষের খোঁচা, 'স্থানীয় নেতৃত্ব যেতে পারছে না। তাই জেলা নেতৃত্বকে পাঠাচ্ছে। আদিবাসীরা পাট্টা পায়নি।'


সামনে পঞ্চায়েত, ফ্যাক্টর মহিলা ভোট


বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭ কোটি ২০ লক্ষ ভোটার। তার মধ্যে ৪৯ শতাংশই মহিলা। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। কাজেই মহিলা ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকার একের পর এক প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদেরই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তৃণমূল নেতৃত্বকে।


আরও পড়ুন- ভাল নয় আর্থিক অবস্থা, বেশি ডিএ দিতে গেলে আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়, কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার