প্রকাশ সিন্হা, বীরভূম : সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে সিবিআই-এর হানা, ১৭৭ বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ ! পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে দাবি ৫৪টি অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে, ৪ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। গরুপাচারের কালো টাকাই সাদা করা হয়েছে, সন্দেহ সিবিআইয়ের (CBI)।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেন সিবিআই। সারাদিন ধরে গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case Scam) সিউড়ির সমবায় ব্য়াঙ্কে চলে সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি। যেখানে চোখ কপালে তোলার মতো ১৭৭ টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলেই দাবি সিবিআইয়ের। এদিকে, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সব ফর্মেই একই লোকের সই, অনুমান সিবিআইয়ের। এই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে খাদ্য দফতরের সূত্র মিলেছে বলে দাবি সিবিআই-এর।
কালো টাকা সাদা করতে অ্যাকাউন্টের ব্যবহার
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ১০ কোটিরও বেশি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আরও দাবি, গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাকাউন্টগুলিকে! তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে যে তথ্য এসেছে, তা রীতিমতো চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো।
বেশিরভাগ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারই পেশায় চাষি ! তাঁদের অ্যাকাউন্টেই না কি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার লেনদেন ! বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তাতে সই রয়েছে একজনেরই। সিবিআই সূত্রে খবর, গরিব মানুষের কাছে অল্প দামে নগদে ধান কিনে চালকলে চাল করে খাদ্য দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিক্রিমূল্য হিসেবে পাওয়া চেক এই সব বেনামি অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ
কীভাবে এত অ্যাকাউন্ট খোলা হল ? সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে প্রশ্ন করেন গরুপাচারকাণ্ডের প্রধান তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। সিবিআইয়ের তরফে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হয়, এই ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট কারা খুলল ? কার নির্দেশে দিনের পর দিন এই এই কাজ হল?
বৃহস্পতিবার, পেন ড্রাইভে সিবিআই আধিকারিকরা বেশ কিছু তথ্যও সংগ্রহ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৭৭ টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে শুধু ৫৪ টি অ্যাকাউন্টেই মিলেছে ৪ কোটি টাকার লেনেদেনের হদিশ।
আরও পড়ুন- রাইলস টিউব-চ্যানেল নিয়েও মঞ্চে মহীনের ঘোড়াগুলির 'তিনি', সাহায্য চাইছেন গানওয়ালারা