কলকাতা: এবারের বাজেটে  ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনাবেচায় স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড়ের বহাল রাখার কথা জানাল রাজ্য সরকার।  এই ছাড়ের মেয়াদ বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এদিন বিধানসভায় পেশ করা বাজেটে সার্কেল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড়ের কথা জানানো হয়েছে।  উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর ফলে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রও ধাক্কা খেয়েছে। করোনা মোকাবিলায় নানান বিধিনিষেধের জেরে ঝিমিয়ে পড়েছিল আবাসন শিল্প। এই ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করার জন্য আগের বছরের বাজেটেই ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনাবেচায় স্ট্যাম্প ডিউটি ২ শতাংশ ছাড়ের কথা জানানো হয়েছিল। জমি ও আবাসনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দাম  বা সার্কেল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড়ের প্রস্তাব  গতবারেই রাজ্য বাজেটে দেওয়া হয়েছিল। এবারই সেই ছাড় বহাল রাখার কথা জানানো হল। এই ছাড়ের সময়সীমা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল। অর্থাৎ, ওই সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন করলে ওই ছাড় পাওয়া যাবে। 


স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কেল রেট কমানোয় লেনদেনের খরচ কমবে। এর ফলে ক্রেতাদের ওপর আর্থিক বোঝা কিছুটা কমবে। ফলে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার আগ্রহ বাড়বে। সবমিলিয়ে আবাসন শিল্পে গতি আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আবাসন শিল্প চাঙ্গা হলে বাড়ি বা ফ্ল্য়াট বিক্রি বাড়লে রাজ্য সরকারের হাতেও বাড়তি অর্থ আসতে পারে। সেই লক্ষ্যেই স্ট্যাপ ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় ও সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় বহাল রাখা হল বলে মনে করা হচ্ছে। 


আজ ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেট পেশ করা হয়। বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন  অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রকল্পে জোর দিয়েছেন। ফলে এবারের রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্প গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  এদিন রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশের পর ফের একবার রাজ্যকে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি পায় রাজ্য। আমফানের পর ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি পায় রাজ্য।


তিনি বলেছেন, ‘ডিভিসি এখনও পর্যন্ত ঠিকমতো ড্রেজিং করেনি। ফরাক্কায় ড্রেজিংয়ে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিল কেন্দ্র, এখনও দেয়নি। এখনও পড়ে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এখন এমন পরিস্থিতি যে মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা রেখে ভাবছে টাকা ফেরত পাব তো? অর্থনীতির হাল বেহাল, মানুষের হাতে টাকা নেই।