করুণাময় সিংহ, ঝিলম করঞ্জাই, রাজা চট্টোপাধ্যায়, বাচ্চু দাস, কলকাতা : জেলায় জেলায় শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজে ৩ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এখনও অবধি। জানা গেছে, জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল ভর্তি হয়েছিল ৩ শিশু। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল, ১টি শিশুর মৃত্যু হয় সকালে। চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতাল কর্তপক্ষ।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি ১০টি শিশুর সোয়াবে মিলল ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস। এখনও ২টি রিপোর্ট আসেনি, খবর হাসপাতাল সূত্রে। জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৫ জন শিশু। এদের মধ্যে ১০ জনের সোয়াব পাঠানো হয়েছিল কলকাতায়।
পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্তর সংখ্যা। হাসপাতালের শিশুবিভাগে প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চলছে বৈঠক। হাসপাতালের শিশুবিভাগে ২৩৫ জনেরও বেশি অসুস্থ শিশু ভর্তি। সব মিলিয়ে জেলায় জেলায় শিশুদের অসুস্থতা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ। উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে, শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে জ্বরের প্রকোপ। প্রায় সব হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুদের ভিড়। এই পরিস্থিতিতে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ দল, বুধবার যায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তাঁরা। জলপাইগুড়িতে জ্বরের প্রকোপের মধ্যে, উত্তরবঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি ৬৪ জন শিশুর নমুনা পরীক্ষায়, ৬ জনের ধরা পড়েছে স্ক্রাব টাইফাস। ৭জন শিশু ডেঙ্গি এবং এক শিশু জাপানি এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত।
বি সি রায় শিশু হাসপাতালেও জ্বর নিয়ে শিশুর ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে উল্লখযোগ্যভাবে। বেডের প্রায় অর্ধেক ভর্তি। জ্বরের কারণ খুঁজতে মঙ্গলবার বিশেষ কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, এদিন কমিটির বৈঠকে নজরদারি, ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে, সব মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, সুপার ও সিএমওএইচের।