পার্থপ্রতিম ঘোষ, সন্দেশখালি : জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগের পরেই সন্দেশখালিতে গেল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের দল আজ ধামাখালি থেকে নৌকায় চড়ে সন্দেশখালিতে যায়। সন্দেশখালিকাণ্ডে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন গতকাল জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দুষ্কৃতীরা একটি বাড়িতে হামলা চালায়। তারা একটি শিশুকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়। এ নিয়ে তদন্ত করতে বলে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে অ্য়াকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। এরপরই তড়িঘড়ি সন্দেশখালিতে পৌঁছল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।


এ প্রসঙ্গে সুদেষ্ণা রায় বলেন, "ক'দিন ধরেই সন্দেশখালি উত্তপ্ত বলে কথা চলছিল। তার ফলে, অনেক কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছিল। আমরা দু'দিন আগেই গিয়েছিলাম চোপড়ায়। যেখানে ৪ বাচ্চা বিএসএফের গাফিলতির জন্য প্রাণ হারিয়েছে। ওই চার বাচ্চাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেরকম যখন আমরা জানতে পারলাম, সন্দেশখালিতে একটি বাচ্চাকে কেউ মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, এই কথা জানা মাত্র আমাদের চেয়ারপার্সন সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এসপি ও জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, এরকম একটা ঘটনা কী করে ঘটতে পারে ? আমাদের মনে হয়েছে, এখানে এসে দেখা দরকার প্রকৃত পরিস্থিতিটা কী ? কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার পরে শিশুটি কেমন আছে ? তার বাড়ির লোক কেমন আছে ? তারা কীভাবে রয়েছে ? তার সঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে আমরা দেখব, যেসব স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে , এই পরিবেশের মধ্যে আমরা কিছু স্কুল পরিদর্শন করতে চাই। সেখানে দেখতে চাই, ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না। "


তাঁর সংযোজ, "জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন এটাকে সামনে আনেনি। আমরা অন্য একটি মিডিয়ায় জানা মাত্র চিঠি লিখি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনও এসিপি-ডিএমকে চিঠি লিখেছে। তারা রিপোর্ট তলব করেছে। তারা আমাদের কিছু জানায়নি। জানানোর হয়ত প্রয়োজন মনে করেনি। আমরা তার আগেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে