কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (Higher Secondary Exam) সূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, ‘২ এপ্রিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা, ৪ এপ্রিল দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। ৫ এপ্রিল ভোকেশনাল বিষয়ের পরীক্ষা, তারপরে ১৬ এপ্রিল পরীক্ষা। ৫ এপ্রিলের পরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও পরীক্ষা হবে না। ১৬ এপ্রিল শনিবারও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে। ‘১৬ এপ্রিল শনিবারও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে। ২১ এপ্রিল উচ্চমাধ্যমিকের কোনও পরীক্ষা হবে না। জয়েন্টের জন্য ২১ এপ্রিল উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে না। ২৪, ২৫ এপ্রিল জেইই-মেনের জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে না। ১৬ এপ্রিল অঙ্ক, ২৬ এপ্রিল কেমিস্ট্রি, ২৭ বায়োলজিক্যাল সায়েন্স পরীক্ষা। ১৮ এপ্রিল অর্থনীতির পরীক্ষা, ১৯ এপ্রিল কম্পিউটার সায়েন্সের পরীক্ষা। ২০ এপ্রিল কমার্শিয়াল ল পরীক্ষা, ২২ এপ্রিল ফিজিক্সের পরীক্ষা। ২৩ এপ্রিল স্ট্যাটিস্টিক্সের পরীক্ষা। ৩০ এপ্রিল রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স হবে।’
উপনির্বাচনের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পাঁচ রাজ্যে ভোটের সময় আসানসোল, বালিগঞ্জের ভোট করা যেতে পারত। পাঁচ রাজ্যের ভোটের সঙ্গে উপনির্বাচন হলে এই সমস্যা তৈরি হত না। ৭ লক্ষ ৩৯ হাজারের বেশি এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা। উপনির্বাচনের জন্য স্কুলেই বুথ, একসঙ্গে কী করে পরীক্ষা হবে? ভোটের সময় প্রচার, ছেলেমেয়েদের অসুবিধে হয়, এগুলো মাথায় রাখা উচিত। রাজ্য সরকার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছিল। বালিগঞ্জের সঙ্গে মানিকতলা উপনির্বাচন একসঙ্গে করতে পারত। তার মানে বিজেপির কথায় যেদিন বলবে, সেদিন ভোট করবে। সব পরীক্ষাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে জয়েন্টও পড়ে গেছে। কারও লজ্জা না থাকলে, আমার নিজের খারাপ লাগে। পরীক্ষা পিছোতে হচ্ছে।’
১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সেদিন থেকেই শুরু হচ্ছে পরীক্ষা। তবে ভোটের জন্য সূচিতে কিছু বদল করতে হল। সে কথাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।