বাঁকুড়া: 'বাংলার মানুষ ভিক্ষা চায় না। বাংলার মানুষ তাঁর অধিকার চায়, দাবি চায়, সম্মান চায়', বাঁকুড়ার (Bankura) বলরামপুুরের (Balarampur) সভা থেকে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। আজ বলরামপুরের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বললেন,  'ওরা বলছে, বাংলার বাড়ি হবে না। রাস্তা হবে না। যেন মনে হচ্ছে ফোকটের টাকা দিচ্ছে। এটা আমাদের টাকা। ...আমাদের টাকা আমাদের দিচ্ছে না। বলছে বাংলাকে ভাতে মারো। এত সহজ নয়।'


আর কী?
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার নির্ঘণ্ট বাঁধাই ছিল তৃণমূলনেত্রীর। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। ৪০ লক্ষ কর্মদিবস দিয়েছি, বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়েছি। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। ভোটের সময় বলে উজালা দেব, আর ভোটের পর উজালা হাওয়া, পেট্রলের দাম বাড়ায়, ডিজেলেন দাম বাড়ায়, গ্যাসের দাম বাড়ায়। রাস্তার টাকা দেয় না, আবাসনের টাকা দেয় না। মহিলাদের সম্মান দেয় না। আমরা গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করি না। আমরা পাট্টা দিই। উত্তরপ্রদেশে উচ্ছেদ করতে গিয়ে সে দিনও মা-মেয়েকে একসঙ্গে পুড়িয়ে মেরেছে। এখানে কোনও সেন্ট্রাল টিম আসে না। কোথায় আসে? বাংলায়।'


খতিয়ান...
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের কাজের বিশদ খতিয়ানও পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'গঙ্গাজলঘাটিতে জলস্বপ্ন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে যাতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হবে।' মনে করান, এই প্রকল্পবাবদ এর মধ্যেই ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তা ছাড়া 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পে ৬ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ যে উপকৃত হয়েছেন সে কথাও উঠে আসে তাঁর কথায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যে নতুন ঘোষণা হয়েছে সে ব্যাপারেও ফের জোরাল বার্তা দিতে শোনা যায় তাঁকে। আসে বাঁকুড়ায় পর্যটন শিল্পে হোম-স্টে চালুর কথাও। এসবের সঙ্গেই মমতার সংযোজন, 'বাঁকুড়ার জন্য বিজেপি কোনও কাজ করেনি। বাঁকুড়ায় বিজেপির সাংসদ আছে।' মাওবাদী আতঙ্ক দূর করা নিয়েও জোরাল বার্তা শোনা যায় তাঁর কথায়। বলেন, 'গত ১১ বছরে বাঁকুড়া থেকে মাওবাদী আতঙ্ক দূর হয়েছে।' কিন্তু ভোটের মুখে যে ভাবে সরকারি পরিষেবাপ্রদান অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তিনি বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন, তাতে অন্য অর্থ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন:অসমের জোরহাটের চকবাজার ভয়াবহ আগুন, পুড়ল দেড়শোরও বেশি দোকান