Heat Wave In West Bengal Update : গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। এপ্রিল মাসে কলকাতায় আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতেই চলছে স্কুল। ২ বছর পর সবেই সবেই অফলাইন ক্লাস শুরু করেছে স্কুল পড়ুয়ারা। তার মধ্যেই সূর্যের শাসন। বিচলিত অভিভাবকরা। জেলায় জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও জেলায় স্কুলের সময় বদলানো হল, কোথাও আবার অভিভাবকরা গরমের ছুটি এগিয়ে আনার অনুরাধ করলেন। 


বীরভূম ( Birbhum ) 

সিউড়ির (Suri) সরোজবাসিনী শিশু ভবন। বীরভূমে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আগাম সতর্ক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। গত কয়েকদিন ধরেই স্কুলের সময়ে পরিবর্তন। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয়ে স্কুল ছুটি হচ্ছে সকাল ১১টায়। 
পাশাপাশি, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিউড়ি পুরসভার তরফে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে জলের বোতল। গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাদের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে রয়েছে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা। প্রয়োজনে ডাকা হবে মেডিক্যাল টিমকে।


পশ্চিম বর্ধমান ( West Burdwan )


পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৪৩ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রা। এই পরিস্থিতিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার দাবি দুর্গাপুরের (Durgapur) বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম গুরু তেগ বাহাদুর স্কুলের অভিভাবকদের। তাঁদের দাবি, স্কুল ছুটি হচ্ছে ১২টায়। বাড়ি ঢুকতে বেজে যাচ্ছে ১টা-দেড়টা। সেইসময় মাথার ওপর গনগনে রোদ। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অধিকাংশ পড়ুয়াই। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গরমে স্কুলের সমস্ত আউটডোর অ্যাক্টিভিটি বন্ধ রাখা হয়েছে। 


রাজ্য সরকারের অ্যাডভাইসরি 


১১টি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। এই অবস্থায় সমস্ত স্কুলই সকালে খোলার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। জেলাশাসক, স্কুল পরিদর্শকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে স্থানীয় চিকিত্সকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গরমের মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের গাইডলাইন বা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।