কলকাতা : নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠক ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের। বৈঠকে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা। আলোচনাপর্বে উঠে আসে, প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠনের দাবি। এ প্রসঙ্গে ১৭জন জুনিয়র ডাক্তারের তরফে বক্তব্য তুলে ধরেন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার।


তিনি বলেন, "একটা যেমন স্টেট টাস্ক ফোর্স হচ্ছে, আমরা বলছি প্রত্যেকটা কলেজ লেভেলে এরকম মনিটরিং কমিটি...যেটা কলেজ লেভেল টাস্ক ফোর্স ...সেখানে যেমন অধ্যক্ষ থাকছেন, MSVP থাকছেন, HOD-রা থাকছেন, সিস্টার দিদি যাঁরা প্রতিনিধি থাকছেন...রোগীর পরিজন থাকতে পারেন। ঠিক তেমনি, জুনিয়র ডাক্তার এবং ছাত্র...তাঁদের প্রতিনিধি রাখা, কারণ এই যে যখন দাবি হবে...।" 


তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা নিশ্চয়ই এটা কনসিডার করতে পারি । আমার মনে হয় না, এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে।" তখন জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, "এখানে যাঁরা থাকবেন, যাতে আবার সিলেক্টিভ হয়ে না যায়...যতক্ষণ না ইলেকশন হচ্ছে, ইলেকশন হয়ে গেলে তো তখন আবার ইলেক্টেড মেম্বার আসবে। ততক্ষণ অবধি মেজোরিটি অফ ইউজি স্টুডেন্টস এবং মেজোরিটি অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স তাঁরা নিজেদের প্রতিনিধিকে বেছে এখানে পাঠাবেন।" মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, "আমি কী করে করব এটা ?" তখন দেবাশিস বলেন, "রেসিডেন্টরা একজনকে পাঠাচ্ছেন। সেটা সই করে দিলে ...তাতে অধিকাংশের সই থাকবে...।" তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে তোমরা আছ, তাতে এখন তোমরা যা বলবে সিনিয়র ডাক্তাররা তাই করবেন। আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দাও। তারপরে আমরা তাঁদের সাজেশন চাইব। অধ্যক্ষ সেটা রেকমেন্ড করে আমাদের পাঠাবে।" জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, "এরকম একটা কমিটি তৈরি হচ্ছে কলেজে কলেজে, সেটা নিয়ে একটা ডিরেক্টিভ চাইছি। স্টেট টাস্ক ফোর্স একটা তৈরি হচ্ছে। সেখানে এরকম প্রতিনিধি থাকছেন।"


তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি বলছি শোনো, স্টেট টাস্ক ফোর্স যেটা আছে...DG-কে রেখেছ, CP-কে নিয়ে নাও। গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল থেকে একজনকে নিয়ে নাও। ৫ জন হয়ে গেল। ওদের পক্ষ থেকে ২ জন জুনিয়র ডাক্তার ও ২ জন রেসিডেন্সিয়াল ডাক্তার নিয়ে নাও। মেয়েদের স্টুডেন্টদের থেকে একজনকে নিয়ে নাও। ১০ জন হয়ে গেল।" 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে