কলকাতা : ১৬ জুলাই ফেরার কথা ছিল বাড়িতে। তার পাঁচদিন আগে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন বারুইপুরের ( Baruipur)  বর্ষা মুহুরি। কীভাবে প্রাণ যায় বর্ষার ? অদৃষ্টের কী পরিহাস ! মেঘ ভাঙা বৃষ্টি কিনা কেড়ে নিল সেই মেয়েকে, যার নামই বর্ষা ! 


 ১ জুলাই ( 1st July )  মা, মামা ও প্রতিবেশী-সহ ৭ জনের দলটি অমরনাথ ( Amarnath ) রওনা দেয়। শুক্রবার হড়পা বানের সময় বোন ও ভাগ্নির হাত ধরেছিলেন মামা। পাথর গড়িয়ে আসায় মাকে বাঁচাতে যান বর্ষা। টাল সামলাতে না পেরে ভেসে যান ২২ বছরের তরুণী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী উজ্জ্বল মিত্র। চোখের সামনে পাড়ার মেয়ের মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছেন না তিনি। 


হুইল চেয়ারে বর্ষার মা 
রবিবার গভীর রাতে দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর ( Indigo Airlines )  বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় মুহুরি পরিবার। পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসে বের হন বর্ষার মা নিবেদিতা মুহুরি। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।  পাথর গড়িয়ে তো আসছিল তাঁর দিকেই। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই তো যায় মেয়ের প্রাণ !  পায়ে চোট রয়েছে বর্ষার মামা সুব্রত চৌধুরীরও। 


বর্ষার শেষকৃত্য 
রবিবার রাত ৩টে নাগাদ বিমানবন্দর ( Kolkata International Airport ) থেকে শববাহী গাড়ি রওনা দেয় বারুইপুরে চক্রবর্তী পাড়ার উদ্দেশে। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাড়িতে পৌঁছয় বর্ষার দেহ। হাজির ছিলেন আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা। এরপর বারুইপুর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 


সব দুঃস্বপ্নেরই শেষ থাকে। তেমনই অনেক প্রাণ কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে মেঘ ভাঙা বর্ষণ। হড়পা বান-বিপর্যয়ের পর. চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ ৪১ জন পুণ্যার্থী। এর মধ্যেই  সোমবার থেকে ফের শুরু হল অমরনাথ যাত্রা। কাশ্মীরের পহেলগাম বেস ক্যাম্প থেকে রওনা দিলেন পুণ্যার্থীদের নতুন একটি দল। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে আংশিক বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা।