কলকাতা: বর্ষার দেখা নেই, নেই বৃষ্টিও। কার্যত চাতকের মতো অবস্থা দক্ষিণবঙ্গে। জুনের প্রায় শেষ লগ্ন হতে চলল, অথচ শুকনো খটখটে অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। প্রাক বর্ষার বৃষ্টি তো দূর, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিও হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে, ২৩ জুন থেকে সার্বিক ভাবে দক্ষিণে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এর আগে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, বুধবার সন্ধের পর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গে। আপাতত কোনও জেলাতেই তাপ্রবাহের সতর্কতা নেই। তবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ আজ সম্পূর্ণ মেঘলাই থাকবে। অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকায় বৃষ্টির আগে পরে ঘর্মাক্ত অস্বস্তি বহাল থাকবে।
হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে। বাকি দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘন্টায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি। তবে এখনই ভারী বৃষ্টি পাবে না দক্ষিণবঙ্গ। ২৩ জুনের পর দক্ষিণের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার আগে বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে উপকূলের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও অংশে।
কেন দেরি হচ্ছে বৃষ্টির?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এবং অপরদিকে ইসলামপুরে দীর্ঘদিন ধরে অনড় হয়ে থাকা মৌসুমী অক্ষরেখার নিচের দিকে নেমে আসার প্রবণতা দক্ষিণে বর্ষা আসার পরিস্থিতি অনুকূল করে তুলেছে। বিহার থেকে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত উত্তর দক্ষিণ অক্ষরেখা কাল থেকে আরও কিছুটা সক্রিয়। গোয়া থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত পূর্ব পশ্চিম অক্ষরেখা। আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত। উত্তর পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
এদিকে উত্তরবঙ্গ পার্বত্য-সহ ওপরের ৫ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে আজও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা অর্থাৎ মালদা এবং দুই দিনাজপুরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে মৌসুমী বায়ুর। দক্ষিণবঙ্গেও প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে পারে সেই মতো।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে