সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা :  দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে ছিল ১৯ শে জুন নির্ধারিত সময়ের আট দিন পর। তারপর এক মাস কেটে গেলেও বৃষ্টির ঘাটতিতে ভুগছে দক্ষিণ বঙ্গ (Weather Update) । দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির (Rain) হাহাকার বলা চলে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে,  রাজ্যে আজ প্রবল বৃষ্টি হওয়ার মত কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি । রাজ্যের উপর বর্ষার কোনও সিস্টেম সক্রিয় নয়।  তাই বৃষ্টি আরও কমবে বলে আশঙ্কা। শ্রাবণ শুরুতেও বৃষ্টি নিয়ে হাহাকার। 



আবহাওয়া (IMD) দফতর জানাচ্ছে, একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে পশ্চিম মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে দক্ষিণ ওড়িশা এবং মধ্যপ্রদেশের বিদর্ভ ছত্তীসগড় সংলগ্ন এলাকায়।


উত্তরবঙ্গের বর্ষা পরিস্থিতি  
দক্ষিণের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বর্ষা এসেছিল আগে। তারপর বৃষ্টির দাপটেও এগিয়ে থেকেছে উত্তরই। দক্ষিণে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও, বৃষ্টির পরিমাণ সপ্তাহের শুরুতে একটু বেশি হবে উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে দু এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । দার্জিলিঙেও দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 


দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা পরিস্থিতি  


দক্ষিণবঙ্গে সোমবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি যেমন থাকবে, তেমনই বিক্ষিপ্তভাবে খুব হালকা বৃষ্টি হবে। আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দিনে ও রাতে অস্বস্তি হবে। বৃহস্পতিবারের পর বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়তে পারে।
 
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি চলছে। বেশ কিছু জেলাতে ৫০ শতাংশের বেশি ঘাটতি রয়েছে। আগামী সাত দিনে বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি হবে না। তাই ঘাটতি মেটার সম্ভাবনা আপাতত নেই। এর জেরে ধান, পাট চাষে তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গে  কৃষিতে সামগ্রিকভাবেই  সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। 


কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও । মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে। বৃষ্টি হলেও জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।


কলকাতার তাপমাত্রা
ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৩ থেকে ৮৮ শতাংশ।