সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। তীব্র গরমের মধ্যে অবশেষে স্বস্তি। আজ থেকেই রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ (Thunfderstorm)-সহ বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস (Forecast)। বুধবার পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ, দুই বঙ্গেই হতে পারে কালবৈশাখীর (Kalbaishakhi) মতো পরিস্থিতি, এমনটাই জানান হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি, বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। অন্যদিকে, আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা। বুধবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরদিন ৫ মে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। সেটি ক্রমশ দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা, তা হলে কোন অভিমুখে থাকে, সে দিকেই নজর রাখছেন আবহবিদরা।
আরও পড়ুন, ১২৫ বছরে পদার্পণ করল রামকৃষ্ণ মিশন, মঙ্গলারতির মাধ্যমে শুরু অনুষ্ঠান
এদিকে শনিবার তীব্র গরমের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েক জেলায় বয়ে গেল ঝড়। বিকেলেই নামল সন্ধের মতো অন্ধকার। কিন্তু কবে শীতল হবে কলকাতা? কবে বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা? এদিন সেই আশার কথাই শোনাল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার সন্ধেয় কলকাতার একাংশ ভিজলেও, তা ছিল নামমাত্র। ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে পারদ সামান্য নামলেও, অস্বস্তি থেকে মেলেনি রেহাই। যদিও শনিবারের বৃষ্টিতে অনেকটাই স্বস্তি নেমেছে শহরে।
জেলায় জেলায় কী পরিস্থিতি?
শনিবার পুরুলিয়াবাসীকে সাময়িক স্বস্তি দিল কালবৈশাখী। প্রথমে ধুলো-ঝড়, পরে বৃষ্টিতে ভিজল এলাকা। শনিবার ঝড়-বৃষ্টি হল বাঁকুড়ায়। ঝড়ের দাপটে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে ভেঙে পড়ে বেশ কিছু গাছ। বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, পুবালি হাওয়ার দাপটে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। তার ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে।