সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। বৃষ্টিও শুরু হয়েছে পাল্লা দিয়ে। এ যেন মন খারাপ করা দিন। কতদিন চলবে এই দুর্যোগ তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। 


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান এলাকা থেকে বিহার পর্যন্ত এই নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থান রয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে বিহার থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত। এই অক্ষরেখার প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে সাগর থেকে। এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ছত্রিশগড় ও ঝাড়খন্ড এলাকায়।


এই সিস্টেমের প্রভাবে সোম-মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্য জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। ঝড়ের দাপট থাকবে রবিবার পর্যন্ত। আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা।


রবিবারও রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে দমকা ঝড় হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও‌ পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সোমবারও সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। উপকূলের জেলা সহ দু এক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।                         


আরও পড়ুন, ঝড়ের দাপট কমবে, তবে শনি-রবির ছুটি মাটি করবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, কোথায় দাপট বেশি?


হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে মঙ্গলবার সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে ঝড়ের সম্ভাবনা নেই। বুধবার থেকে বৃষ্টি কমবে, আবহাওয়া বদল এর সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। 


অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শিলাবৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে। শিলাবৃষ্টি সম্ভাবনা মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে।