কমলকৃষ্ণ দে, দুর্গাপুর: গোপনসূত্রে খবর পেয়ে হানা, হাতেনাতে পাকড়াও ৫ দুষ্কৃতী। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশসূত্রে খবর, শুক্রবার  রাতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর ফ্ল্যাঙ্কে আনজির বাগান মোড় এলাকায় একটি নির্জন জায়গায় ৭, ৮ জনের একটি দল জড়ো হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেয় বর্ধমান থানার পুলিশ। 


সেখানেই হাতেনাতে ধরা পড়ে একাধিক দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয় একটি পাইপ গান ও এক রাউন্ড গুলি। এছাড়াও একটি লোহার রড, লাঠিও মিলিছে তাঁদের কাছ থেকে।  জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুনীল সাউ, মীর আকিব, সেখ জাকির হোসেন, বিবেক দাস, খোকন দাস। এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি বর্ধমান শহরে। কেউ জোতরাম আবার কেউ বাজেপ্রতাপপুর এলাকার বাসিন্দা।  


কোথায় যাচ্ছিল এই দুষ্কতীর দল? রাতের অন্ধকারে এত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই বা কী করছিল তাঁরা? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধৃতরা জাতীয় সড়কের যাতায়াত করা গাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়ো হয়েছিল। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে বর্ধমান থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। 


পাচার চক্রের হদিশ: কিছুদিন আগে  সীমান্তে নজরদারি চালাতে গিয়ে ফের পাচারচক্রের হদিশ মেলে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এক পাচারকারী। তাঁর কাছ থেকে ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের রুপো উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হয় ওই পাচারকারী। BSF দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্ত এবং শুল্ক বিভাগের যৌথ অভিযানে এই পাচারচক্রের পর্দাফাঁস হয়েছে। এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত, কোথায় পাঠানো হচ্ছিল ওই রুপো, সেই নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। (Nadia News)


BSF সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত ৮৬ নং ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত চৌকি বিআরসি পুরায় BSF জওয়ান এবং করিমপুরের শুল্ক বিভাগের সঙ্গে মিলে নদিয়া জেলার সীমান্ত এলাকায় একটি যৌথ অনুসন্ধান চালায়। তাতেই ২৪ কেজি রুপো-সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। ধৃত চোরাকারবারী ভারতীয় নাগরিক বলেই জানা গিয়েছে। (India Bangladesh Border) ধৃত চোরাকারবারীকে সৈকত মণ্ডল নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। নদিয়ার মথুরাপুরের বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছিল, জামতলা থেকে এক ব্যক্তির কাছ ছেকে ওই রুপো সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশে ওই রুপো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর আগেই তাঁকে ধরে ফেলা হয়।