মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : বোনাসের দাবিতে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (Durgapur Steel Plant) সামনে মানববন্ধন করলেন শ্রমিকরা। রাজনীতির রং ভুলে শ্রমিক স্বার্থে একজোট হয়ে প্রতিবাদে সামিল ডান-বাম সব ক’টি শ্রমিক সংগঠন। কেন্দ্রীয় স্তরে আলোচনা চলছে বলে জানানো হয়েছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের তরফে।


বোনাসের দাবি, ফিকে রাজনীতির রং


সামনের বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরে। বোনাসের দাবিতে রাজনীতির রং ভুলে দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের গেটের সামনে। মানববন্ধন করে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন। ইস্পাতমন্ত্রকের অধীনস্থ দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের বিরুদ্ধে, আন্দোলনে যোগ দিল আরএসএসের শ্রমিক সংগঠনও।


দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন


আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দাবি, চলতি আর্থিক বছরে দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের ব্যবসা লাভের মুখ দেখলেও কর্মীদের সম্মানজনক বোনাস দেওয়া হয়নি। ৭টি সংগঠনের নেতৃত্বে পুজোর আগে থেকেই, আন্দোলনে নেমেছেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার স্থায়ী শ্রমিক। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। পাশাপাশি দাবি আদায়ে সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন জরুরি মনে করাতেই শ্রমিক স্বার্থে সকলে একসঙ্গে হয়েছে বলেই জানান বিভিন্ন দলের শ্রমিক প্রতিনিধিরা।


কর্তৃপক্ষ কী জানাচ্ছে


দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধু এটা দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় স্তরে আলোচনা চলছে। বাকি জায়গায় বোনাস হলে এখানেও হবে।


প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে চা শ্রমিকদের সমস্যা, তাঁদের দাবি আদায়ের ইস্যুতে একসঙ্গে দেখা যায় পরস্পরবিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনকে। একযোগে আন্দোলনে নামল তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন। এই ছবি দেখা গেল কোচবিহারের মাথাভাঙার দোলং চা বাগানে। তিন সংগঠনেরই দাবি, শ্রমিকদের স্বার্থেই একযোগে পথে নেমেছে তারা। শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি শ্রমিকের সরকার নির্ধারিত ২০২ টাকা করে প্রতিদিন মজুরি পাওয়ার কথা।  কিন্তু, দোলং চা বাগানের শ্রমিকরা পাচ্ছেন ১৯৩ টাকা করে। বাকি টাকা দেওয়ার দাবিতেই এদিন যৌথভাবে আন্দোলনে নামে তিনটি শ্রমিক সংগঠন। শ্রমিক সংগঠনগুলির তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দোলং চা বাগান কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন- সিভিকে 'না', মুখ্যমন্ত্রীকে স্থায়ী চাকরির আবেদন মালবাজারের মসিহা মহম্মদ মানিকের