সৌমেন চক্রবর্তী, চন্দ্রকোণা: বিকল হাসপাতালের জেনারেটর। বিল বকেয়া থাকায় ভাড়া করা জেনারেটরও চলে না। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ (Power Cut) চলে গেলে অন্ধকারে ডুবে যায় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতাল (Chandrakona Rural Hospital)। ভোগান্তির শিকার রোগীরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিকল হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর।


বিদ্যুৎহীন হাসপাতালে ভোগান্তির শিকার রোগীর: ঘুটঘুটে অন্ধকার চারিদিক। একে অপরের মুখ দেখতেও ভরসা শুধু মোমবাতি। হাঁসফাঁস গরমে নেই ফ্যান। রাতের বেলা দেখার জন্য আলোর ব্যবস্থা। আর হাসপাতালে বিদ্যুৎহীন হলে আলো নিভে যায় চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও। এক ঝলক দেখলে বোঝাই মুশকিল যেটা এটা একটা হাসপাতাল। চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সমস্যায় রোগীরা। এক রোগীর আত্মীয়র অভিযোগ, জেনারেটের চালায়নি। তাই ফ্যান, লাইট কিছুই চলছে না। ল্যাম্পের সাহায্যে দেখতে হচ্ছে।


হাসপাতালজুড়ে অন্ধকার: বিদ্যুৎহীন হলেও কেন নেই জেনারেটের ব্যবস্থা? সূত্রের খবর, জেনারেটর ভাড়া বাবদ হাসপাতালের কাছে প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকার বিল বকেয়া রয়েছে খড়গপুরের (Kharagpur) একটি সংস্থার। সেই কারণে ওই সংস্থা চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনেও রাতে অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। সমস্যার কথা মানছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। ছোট হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়, দাবি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।


অন্যদিকে, শোচনীয় দশা বড়জোড়া ব্লকের গোদারডিহি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Primary health center)। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিয়মিত চিকিৎসক আসেননা। ঘটনায় শাসকদলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (District Chief Health Officer)।


বেহাল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র: আগাছায় ভরে গেছে চতুর্দিক। বেড থেকে জরুরি সরঞ্জাম, একঘরে ডাঁই করে রাখা। কোথাও ভাঙা দরজা পাল্লা, কোথাও আবার আস্ত একটা পাল্লাই উধাও! স্বাস্থ্যকেন্দ্র না কি পোড়ো বাড়ি, এক ঝলক দেখে বোঝা দায়। এমনই ছবি বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের গোদারডিহি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। গ্রামবাসীদের দাবি, ২৫ বছর আগে এখানে অপারেশন পর্যন্ত হত। সেখানে এখন নিয়মিত চিকিৎসকই আসেন না। নেই পর্যাপ্ত ওষুধ। তাঁদের দাবি, গ্রামের এই লাইফলাইনকে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক। বড়জোড়ার বাসিন্দা শাশ্বত রুইদাস বলেন, “২৫ বছর আগে সব পরিষেবা মিলত। এখন মেলে না। একজন দেখাশুনো করে। একার পক্ষে ঠিক রাখা সম্ভব নয়।’’


আরও পড়ুন: Howrah News: ওড়িশায় পর্যটকদের বাস উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, হাওড়ার ৬ বাসিন্দার মৃত্যু