অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন এক যুবক। তাঁর বাড়ি বর্ধমানে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ১২ নম্বর তুতরাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পচাশ বেটিয়া গ্রামে প্রেমিকার বাড়ির সামনে শিব মন্দিরে ধর্না বসলেন প্রেমিক। দু বছরের বেশি সময় ধরে প্রেম  করে বর্ধমানের যুবক পুষ্পেন্দু মজুমদারের মধ্যে  সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বাড়ির লোক জানাজানি হওয়ার পরেও মেয়েকে বিয়ে দিতে অস্বীকার করায় গতকাল সকাল ১০ টা থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে গেল হাতে  প্রেমিকার ছবি নিয়ে ও পোস্টার নিয়ে ধর্নায় বসেছেন। পোস্টারে লেখা আমার ভালোবাসা আমাকে ফিরিয়ে দাও, ''আমার ভালবাসার দাম দাও।'' 


প্রেমিক পুষ্পেন্দু   অভিযোগ তার বাবা-মা এসে মেয়ের বাড়িতে কথা বলার পরেও কালিপুজোর পরে  পাকা  কথা হওয়ার কথা থাকলেও আর যোগাযোগ না করে অন্যত্র মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ের পরিবার। তাই বাধ্য হয়ে ধর্নায় বসতে হয় মেয়ের বাড়ির সামনে । যতদিন না মেয়ে এসে তাকে প্রত্যাখ্যান করে ততক্ষণ পর্যন্ত এই গ্রামে ধর্নায় বসে থাকবে বলে জানালেন ওই প্রেমিক। 


অন্যদিকে, মোবাইল ফোনে আসক্তি। মা-বাবার বকুনিতে অভিমানে আত্মঘাতী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। দাবি পরিবারের। বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার ঘটনা। মায়ের দাবি, গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করত ১৭ বছরের ওই কিশোরী। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার বকাবকি করা হয়। বৃহস্পতিবার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই ছাত্রীর। এরপরই গতকাল বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কিশোরী আত্মঘাতী হয় বলে পরিবারের দাবি। 


২ দিন আগেই, কোচবিহারের (Coochbihar) গুঞ্জবাড়িতে একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু। ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল কলেজ শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের দেহ। পুলিশ সূত্রে দাবি, মিলেছে ১২ পাতার সুইসাইড নোট (Suicide Note)। তাতে লেখা হয়েছে, কীভাবে স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে নিজেকে শেষ করেছেন তিনি। যদিও  কী কারণে এই ঘটনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীত কুমার বলেন, "১২ পাতার সুইসাইড নোট মিলেছে। সুইসাইড নোটে  প্রথমে স্ত্রী পুত্রকে খুন করার কথা লেখা হয়েছে। তারপরে নিজে কীভাবে বারবার মরার চেষ্টা করেছেন, তা লিখেছেন। প্রাথমিক অনুমান খুন করে আত্মহত্যা। পরিবার খুনের অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।"