কলকাতা: বৈঠক ডেকেও সন্দিহান যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। র‍্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন উপাচার্য। ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক-শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বৈঠকের ফলাফল নিয়ে এখনও সন্দিহান উপাচার্য।  সূত্রের খবর, ছাত্রছাত্রীদের মর্জিতে যাদবপুরে বসবে সিসি ক্যামেরা? 'কোথায় কোথায় বসবে সিসি ক্যামেরা, লিখিত ভাবে জানাতে হবে কর্তৃপক্ষকে'। যাদবপুরে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে দাবি করেছে ছাত্র সংগঠন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও আপত্তি উঠেছে। কোথায় বসবে সিসি ক্যামেরা সেটা কেন ঠিক করবে ছাত্ররা? এখন এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


কবে ক্যাম্পাসে বসবে সিসি ক্যামেরা?


তবে এত কিছুর পরেও এখনও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হল না। কবে ক্যাম্পাসে বসবে সিসি ক্যামেরা? ছাত্রমৃত্যুর ২১ দিন পরেও জানাতে পারল না কর্তৃপক্ষ। 'আজ বললেই, কাল সিসি ক্যামেরা বসতে পারে না!' '১৫ দিনও সময় লাগতে পারে'। বিতর্কের মুখে এদিন এমনটাই সাফাই দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।                                                               


ক্যাম্পাসে যত্রতত্র পড়ে খালি মদের বোতল


ছাত্র মৃ্ত্যুর পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। এর পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়নি। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র পড়ে খালি মদের বোতল। অন্তর্বর্তী উপাচার্য কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, সরকারি সংস্থাকেই সিসি ক্যামেরা বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই শুরু হতে পারে ক্যামেরা বসানোর কাজ। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার ভার এবার প্রাক্তন সেনা কর্মীদের হাতে তুলে দিতে চায় কর্তৃপক্ষ। এর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। ছাত্র মৃত্যুর পর তৎপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্তর্বর্তী উপাচার্য জানিয়েছেন, অ্যান্টি-র‍্যাগিং স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ১০টি পয়েন্টে এবার থেকে চেকিং হবে।  বিশেষ নজরদারি থাকবে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ওয়ানে। এর পাশাপাশি, যাদবপুর ক্যাম্পাসে মদ ও মাদক সেবন রুখতে নারকোটিক্স কন্ট্রোলের বিশেষ ডিটেক্টর লাগানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 


কবে আসছে ইসরোর টিম? 


উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে ইসরো-র টিম। ইসরো-র তরফে চিঠি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চন্দ্রযান ল্যান্ডিং-এর দিনেই ইসরো-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, র‍্যাগিং রুখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। যাদবপুরের পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যাবে ইসরো-র টিম, খবর রাজভবন সূত্রে।