পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ঋণ অ্যাপে (Fraud Loan App) প্রতারণাচক্রের 'মাস্টারমাইন্ড' (mastermind) গ্রেফতার (arrest)। ধৃত তরুণী দুবাই থেকে প্রতারণার কারবার চালাচ্ছিলেন, দাবি কলকাতা পুলিশের (kolkata police)। বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার সময় তাঁকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। ঋণ দেওয়ার নাম করে তথ্য হাতিয়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ ওঠে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। গত ২৭ জুন লালবাজারে এই নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এর আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে একই ঘটনায়। এবার জালে স্বয়ং 'মাস্টারমাইন্ড'। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সোনিয়া খারাতমল।
কী জানা গেল?
ঋণ দেওয়ার অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা চলত, বলে প্রাথমিক ভাবে জেনেছে পুলিশ। গত জুনে লালবাজারে অভিযোগ দায়েরের পর লালবাজার তদন্তে নেমে। দেখা যায়, এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অ্যাপের মাস্টারমাইন্ড দুবাই থেকে সবটা চালাতেন বলে জেনেছে পুলিশ। এবং এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র থেকে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে মহারাষ্ট্রে ফিরেছিলেন অভিযুক্ত। খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা আনা হচ্ছে তাঁকে।
মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা...
কয়েক মাস আগেই গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়িতে কিছুটা একই রকম ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল। সেখানে ইডি হানায় খাটের নিচে এহেন টাকার পাহাড় দেখে কয়েক মুহূর্তের জন্য বাকরুদ্ধ হয়েছিল গোটা রাজ্য। ঠিক আর কত ? কারণ টাকা গোনার মেশিনে, শুধুই সময়ে সঙ্গে সংখ্যাটা বদলে যাচ্ছিল। কোটি কোটি টাকা শুধু বেরিয়ে আসছিল। সাদামাটা খাটের নিচ থেকে টাকা উদ্ধারের পর গার্ডেনরিচকাণ্ড সামনে এসেছিল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যবসায়ীর নামে-বেনামে- ১৪৭ টি অ্যাকাউন্ট ? তদন্ত সূত্রে উঠে আসে, ৫ টি ব্য়াব্যবসায়ী আমির খানের রয়েছে অজস্র অ্যাকাউন্ট ! জানা গিয়েছে, ফেডারেল, আইসিআইসিআই,ইয়েস ব্যাঙ্ক -সহ ৫ টি ব্য়াঙ্কে ফেরার ব্যবসায়ী আমির খানের অজস্র অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কীভাবে গার্ডেনরিচের ওই ব্যবসায়ী প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিল ? ইডি-র তদন্তে জানা যায় যে, এই প্রতারক ব্যবসায়ী আমির খানের বিরুদ্ধে ফেডারেল ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক এর আগে একবার অভিযোগ করেছিলেন, প্রথমে অভিযোগ নেওয়া হয়নি, পরে আদালতের নির্দেশে অভিযোগ নেওয়া হয়। এদিকে ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালে ফেডারেল, আইসিআইসিআই,ইয়েস ব্যাঙ্ক -সহ ৫ টি ব্য়াঙ্কগুলি থেকে একাধিকবার ওই ব্যবসায়ী টাকা তুলেছেন বলেই তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি, ই-নাগেটস ছাড়াও আরও ২ টি অ্য়াপ খুলে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন বলে, ইডি-র নজরে আসে।