জয়ন্ত পাল, দমদম: বাস্তবে বিয়ে হয়নি। কিন্তু, বিয়ের ভুয়ো সার্টিফিকেট (Fake Marriage Cirtificate) দেখিয়ে থানায় বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তরুণীকে গ্রেফতার করল দমদম থানা। ধৃত বাচেন্দ্রী রায়, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের বাসিন্দা। তিনি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা নীলাদ্রি দত্ত নামে এক যুবককে স্বামী পরিচয় দিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী। বধূ নির্যাতনের দায়ে যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছে। পরে জামিন পেয়ে দমদম থানায় তরুণীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন নীলাদ্রি। তদন্তে নেমে এবার তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ-সহ ৫টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
ভুয়ো নথি দেখিয়ে পরীক্ষা দিতে চাওয়ার অভিযোগ: কিছুদিন আগে ভুয়ো নথি দেখিয়ে পরীক্ষা দিতে চাওয়ায় গ্রেফতার হয় এক চাকরিপ্রার্থী (Job Incumbent Arrested)। ধৃতের নাম বাপ্পা দেবনাথ। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরাল ডাঙার বাসিন্দা তিনি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দপ্তরের (West Bengal Board Of Primary Education) অধিকারিকরা তাঁকে ধরে ফেলেন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে বাপ্পা দেবনাথকে থানায় নিয়ে যায়।২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ চলাকালীনই ঘটনা ঘটেছে। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানান, এদিন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা, বাপ্পা দেবনাথ, দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টারভিউ দিতে আসেন।
কিন্তু দেখা যায়, তিনি ২০১৬ সালের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্ট্রি এডুকেশনের এর যে শংসাপত্রটি পেশ করছেন, সেটি ভুয়ো। অ্যাডমিট সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সবটাই মিথ্যা। পার্থর কথায়, 'আমরা তাঁকে ধরেছি। যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি।' তাঁর মতে, নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরাই বলেছিলেন, শংসাপত্র দেখে ধন্দ হচ্ছে। এর পর পিটিটিআউ সেলের ইনচার্জদের ডেকে পাঠান ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি। তখনই জারিজুরি ফাঁস হয়ে যায়, দাবি তাঁর। দেখা যায়, বাপ্পা দেবনাথের নামে ২০১৬ সালে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে, সেই নামে ও সেই নাম্বারে আদতে কোনও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের তরফে স্পষ্ট বক্তব্য, সেকশন অথরিটি বলে দেয় এই রেজিস্ট্রেশন ভুয়ো। যদিও বাপ্পা দাবি করেন, তিনি ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। সে তার ডি এড পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহ বাড়ে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। সন্ধের দিকে তেমনই হয়। এর পর পুলিশ অনুসন্ধান করে দেখবে, নকল শংসাপত্র কোথা থেকে কী ভাবে এল?