কলকাতা: বিজেপির কথায় কাজ করছে নির্বাচন কমিশন, অভিযোগ করছে তৃণমূল। সেই অভিযোগ উড়িয়ে গেরুয়া শিবির থেকে পাল্টা বলা হচ্ছে, পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ তৈরির কৌশল তৃণমূলের।


কিন্তু সাধারণ মানুষ কী মনে করছে? তৃণমূলের অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে কি না, তা নিয়ে কী মত আমআদমির? এ নিয়ে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সেই সমীক্ষায় সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথায় কাজ করছে, এই অভিযোগ তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগ কি সঠিক বলে মনে করেন?


৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করছে। ৩৭ শতাংশ মানুষের মতে, বিজেপির কথাতেই পরিচালিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বলতে পারব না, বলেছেন ১৭ শতাংশ মানুষ।


গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রিন করিডর করে কলকাতায় আনা হয় তৃণমূলনেত্রীকে। নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন মমতা। বিরোধীরা পাল্টা নাটক করার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়।


১০ মার্চ দিনভর মন্দিরে পুজো থেকে ধর্মানুষ্ঠান, নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন মমতা।  তারপর নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া গিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। তারপর নন্দীগ্রাম ফিরে আসেন। সেদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল মমতার। 


 


কিন্তু, সন্ধেয় আচমকাই আঘাত পান মমতা। মাথায়, পায়ে ও কোমরে চোট পেয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী। তারপরই চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন মমতা। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও সরব হন অনেকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যের ফলাফলের পাশাপাশি সকলের নজর থাকবে নন্দীগ্রামে। কারণ, পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে এবার সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াই। যে লড়াইয়ে একদিকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি নিজের ভবানীপুর আসন ছেড়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আর তাঁর হেভিওয়েট প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। যিনি এক সময় মমতার অন্যতম সেনাপতি ছিলেন আর এবার লড়াই করবেন বিজেপির টিকিটে। বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চা এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে।