অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: নারী নিরাপত্তা নিয়ে মেদিনীপুর শহরে বাইক মিছিল করল বিজেপির মহিলা মোর্চা। তাঁদের দাবি, তৃণমূল সরকারের জমানায় রাজ্যের নারী নিরাপত্তা তলানিতে ঠেকেছে। পাল্টা হাথরস প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল।
রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে ঠেকেছে তৃণমূলের জমানায়! এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের একটি বাইক র্যালি ও সম্মেলনের আয়োজন করে বিজেপির মহিলা মোর্চা। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী তথা দলের সর্বভারতীয় মহিলা মোর্চার সম্পাদক বিজয়া রাহাতকর। নারী নিরাপত্তা নিয়ে সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একহাত নেন তিনি।
বিজেপির মহিলার মোর্চার সম্পাদক বিজয়া রাহাতকার বলেন, এবার বদল হবেই, বাংলার নিত্যদিন অত্যাচারের ঘটনা বাড়ছে, হিউম্যান ট্রাফিকিং থেকে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ৷
কয়েক মাস আগেই বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে এক তরুণীর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়! তারপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি! সেই প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল! পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের যুব সভাপতি প্রসেনজিত চক্রবর্তী জানান, ‘‘মমতা যা করেছেন তার তুলনা হয় না, হাথরাস কাণ্ডের যা ঘটেছিল তাতে কেন্দ্রের কী হাল হয়েছিল, মহিলাদের কী অবস্থা হয়েছিল, মানুষই বলে দেবে ৷ ’’
যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের যে উন্নাওয়ে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এবং পরে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, সেই উন্নাওয়ের বাবুরায় ফের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে ঘাস কাটতে বেরিয়েছিল ৩ নাবালিকা রাতে জমিতে রহস্যজনক হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। ৩ জনের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়।
মৃত দু’জনের বয়স ১৩ এবং ১৬। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীর বয়স ১৭। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেছেন উন্নাওয়ের ঘটনা মর্মান্তিক। মৃতাদের পরিবারের কথা মন দিয়ে শোনা এবং অসুস্থ মেয়েটির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করাটা, তদন্তের জন্য অত্যন্ত জরুরি।যে নাবালিকা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে তাঁকে দিল্লিতে এমস-এ স্থানান্তরিত করার দাবি করে ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ টুইটারে লিখেছেন, ‘আহত মেয়েটিকে অবিলম্বে এমসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। দেশে দলিতরা লাগাতার নৃশংসতার সাক্ষী হচ্ছেন। এই ধরণের নৃশংসতা চলতে দেওয়া যায় না’। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।