উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যের অন্যতম বড় জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। তৃণমূলের খাসতালুক। বনগাঁ এবং ঠাকুরবাড়ি এলাকা লাগোয়া এলাকায় শক্তিশালী বিজেপিও। এই জেলায় কী হতে পারে ফলাফল?


বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চললেও। আপাতত বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে সি ভোটারের এই এক্সিট পোল (C VOTER-এর EXIT POLL)। সেই সমীক্ষা কী বলছে? কী হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ফল?


উত্তর ২৪ পরগনায় মোট জেলা পরিষদ আসন ৬৬টি। সেখানে সি ভোটারের এক্সিট পোল অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ৪৪-৫৪টি আসন। বিজেপির দখলে আসতে পারে ৫-১১টি আসন। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে ৬-১০টি আসন।


এর আগে ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৭টি জেলা পরিষদ আসন ছিল। সেখানে ৫৭টিই পেয়েছিল তৃণমূল। বিরোধীশূন্য ছিল জেলা পরিষদ।


ফলে এইবারের ভোটে হয়তো কিছুটা আলাদা হতে পারে ফলাফল। এক্সিট পোল অনুযায়ী তৃণমূলের একচেটিয়া প্রভাবে ধাক্কা দিতে পারে বিরোধীরা। যদিও এক্সিট পোলের ফলাফল যদি ফলে যায়, শেষ হাসি হাসবে তৃণমূলই। আসন সংখ্যাতেও অনেকটাই পিছনে ফেলবে বিরোধীদের। ফলে এক্সিট পোল অনুযায়ী যদি সব মিলে যায়, তাহলে উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের একাধিপত্য সামান্য ধাক্কা খেলেও খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। 


জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক 
প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।


আরও পড়ুন- 'কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না কে কাকে কখন গুলি করে দেবে' রক্তস্নাত রাজ্যে রাজীবের দোহাই