সাগরদিঘি: গণনা শুরু হতেই মুখের হাসি চওড়া হচ্ছিল কংগ্রেস (congress) ও বাম (Left) কর্মী-সমর্থকদের। সাত রাউন্ডের পর সেই হাসিই বদলে গেল উদযাপনের মেজাজে। উড়তে শুরু করল রঙিন আবির। ফলঘোষণার আগেই সাগরদিঘিতে (sagardighi) পুরোদস্তুর জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা বাম ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। কারণ হিসেব বলছে, সাত রাউন্ড গণনার পরে ৮ হাডার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।


কী প্রতিক্রিয়া?
এর মধ্যেই আবিরের ছড়াছড়ি সাগরদিঘিতে। ফাটতে শুরু করেছে বাজি। সময়ের কয়েক দিন আগেই হোলির মেজাজ এলাকায়। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বন্যেশ্বর আর মোরগ্রাম, এই দুটি জায়গা থেকেই  তাদের প্রার্থীর জন্য সবচেয়ে নড়বড়ে পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। গত বিধানসভা ভোটে দুটি এলাকা থেকেই দুরন্ত ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু উপনির্বাচনে সমস্ত পুরনো অঙ্ক পাল্টে দিয়ে  বায়রন বিশ্বাসকে হাত উপুর করে আশীর্বাদ করেছেন এখানকার মানুষ। সেই ছবি পরিষ্কার হতেই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায় বাম সমর্থিত এই কংগ্রেস প্রার্থীর। দ্বিতীয় রাউন্ড গণনার পরই তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষ ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস ছিল, জনগণ ঠিক রায় দেবে।'  স্পষ্ট বলে দেন, 'আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। যাঁদের উদ্বিগ্ন হওয়ার, তাঁরাই উদ্বিগ্ন হচ্ছেন। আমাদের কোনও ভয় নেই।'


উচ্ছ্বসিত অধীর চৌধুরী...
জয়ের ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহাও। যদিও দিন দুয়েক আগেই সাগরদিঘিতে জয় নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার ভোট শেষের পর বিজেপি দু-নম্বরে থাকবে বলে দাবি করেছিলেন দিলীপ! রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে  সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন হয়। এই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থীকেই সমর্থন জানায় বামেরা। কংগ্রেস প্রার্থী হন বায়রন বিশ্বাস। অন্যদিকে প্রার্থী দেয় তৃণমূল ও বিজেপি। সোমবার বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া মোটের ওপর শান্তিপূর্ণই ছিল ভোটগ্রহণ। ভোট পড়ে ৭৮.১৮ শতাংশ। এই প্রেক্ষাপটে জয় নিয়ে আশাপ্রকাশ করে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, "সাগরদিঘিতে বামেরা তো ভোট আমাদের দিয়েছে। বিজেপির কিছু ভোট দিয়েছে। কারণ তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে।"স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাম ও কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই বিধানসভায়। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের হাত ধরে সেই খরা কি কাটাতে পারবে কংগ্রেস? '২১-এর বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদে চমক দেওয়া বিজেপি কি এবারও কোনও চমক দেবে? উত্তর পুরোপুরি স্পষ্ট হবে আর কিছুক্ষণ পরেই।


আরও পড়ুন:নবম দশমের নিয়োগ সুপারিশপত্র বাতিলে এখনই স্থগিতাদেশ নয়, জানালেন বিচারপতি বসু