বাঁকুড়া: রাজ্যে এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ায় (Bankura) পৌঁছে গেছে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। আজ দুপুরে বাঁকুড়া সদর থানায় এসে পৌঁছায় ১ কোম্পানি বাহিনী। ধাপে ধাপে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।  


নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় করা সম্ভব হবে পঞ্চায়েত ভোট? গ্রাম বাংলার ভোটে কি সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারী বুটের আওয়াজ পাওয়া যাবে? নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় করা সম্ভব হবে পঞ্চায়েত ভোট? পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবাসীর কাছে! রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মতো ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিজ্ঞপ্তি আগেই জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এ দিন তারই অংশ হিসেবে বাঁকুড়ায় পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী।


অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বাহিনী-নির্দেশের পর, আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর রিকুইজিশন দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  তার মধ্যে এদিন আরও ৩১৫ কোম্পানি বাংলায় পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করল অমিত শাহের মন্ত্রক। 


এর মধ্যে প্যারামিলিটারি ফোর্স আসছে ২০০ কোম্পানি। তার মধ্যে ৫০ কোম্পানি CRPF, ৬০ কোম্পানি BSF, CISF থাকছে ২৫ কোম্পানি, ২০ কোম্পানি ITBP, ২৫ কোম্পানি SSB এবং ২০ কোম্পানি RPF থাকছে।         


এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের স্পেশাল আর্মড পুলিশের ১১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরা, মিজোরাম , সিকিম , অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়  মহারাষ্ট্র, মোট ১২টি রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিশ ফোর্স পাঠানো হচ্ছে। 


৮ জুলাই একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্যে। তাই প্রশ্ন উঠছে, এই ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে সাড়ে ৬১ হাজারেরও বেশি বুথে নির্বিঘ্নে ভোট করানো সম্ভব হবে? , প্রয়োজন হবে আরও সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর? ত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। 


বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল!  নিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হাকে। এখন আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চিঠির কী উত্তর আসে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।