কলকাতা: সন্ধেয় ট্যুইট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দলনেত্রীর পোস্ট এল একটু রাতের দিকে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য 'সকল মা মাটি ও মানুষকে'  শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালেন। এদিন সকাল থেকে, ভোটগণনা শুরু হতে যে ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে তাতে নাগাড়ে দাপট দেখিয়ে গিয়েছে তাঁর দল। রাত পর্যন্ত যতটা ফল জানা গিয়েছে, তাও সবুজ ঝড়ের কথাই বলছে। তবে গণনা এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই প্রথমে অভিষেক ও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধন্যবাদসূচক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়। 



কী লিখলেন তৃণমূলনেত্রী?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল পেজে যে পোস্ট রয়েছে, তাতে লেখা, 'গ্রামবাংলায় পুনরায় বিকশিত জোড়াফুল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের অভূতপর্ব সমর্থন, অকুণ্ঠ ভালোবাসা এবং অপার আশীর্বাদে আমি তথা আমার গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার কৃতজ্ঞ। এই জয় আমার প্রণম্য গণদেবতার জয়। এই নির্বাচন আবারও প্রমাণ করলো, বাংলার মানুষে হৃদয়ে তৃণমূল কংগ্রেসই আসীন।' রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত যতটা গণনা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২ হাজার ৩০২টি গ্রাম পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে। বিজেপি জিতেছে ২৩৯টি পঞ্চায়েতে। সিপিএম জয়ী ৬২টি পঞ্চায়েতে। কংগ্রেস জিতেছে ৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। আইএসএফ পেয়েছে ৮টি পঞ্চায়েত। ত্রিশঙ্কু-সহ এখনও অস্পষ্ট হয়ে রয়েছে ১৯৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছবি। অর্থাৎ মোটামুটি যা দেখা যাচ্ছে, তাতে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে বহু এগিয়ে শাসকদল। স্বাভাবিক ভাবেই এই ট্রেন্ড দেখে খুশির মেজাজ শাসকশিবিরে। আগেই ট্যুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতের দিকে ফেসবুক পোস্ট স্বয়ং দলনেত্রীর। যদিও এই ফলাফল নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। বিশেষত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, এই ফলাফল মোটেও জনাদেশ নয়। 


শুভেন্দুর অভিযোগ...
' প্রশাসনের সঙ্গে মানুষ কী ভাবে লড়বে? এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়', মঙ্গলবার গণনার কিছুটা এগনোর পর বলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, 'এবারের নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি আসন তৃণমূলের পাওয়ার কথা নয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়ায় বিজেপির জয় হত। রাজ্যের পুলিশ কার্যত খোলাখুলি সমর্থন করল। আদালতে আমাদের লড়াই চলবে।' এর সঙ্গেই তাঁর দাবি, 'বহু কাউন্টিং এজেন্ট ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দু-তিনবার ফোন করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা জনমত নয় সকলে জানেন।' 


আরও পড়ুন:গণনার দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বিপত্তি