কলকাতা: জমায়েত নিয়ে কড়াকড়ি নির্বাচন কমিশনের। জমায়েত দেখলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিন। বিজয়োল্লাসে বিধি ভঙ্গ হলেই এফআইআর করার নির্দেশ। মুখ্যসচিবদের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। বিধিভঙ্গ হলে স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। যাঁর এই কাজে নিযুক্ত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি কমিশনের। 


কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে ভোটের ফলের ট্রেন্ড দেখে মেদিনীপুর কলেজে গণনা কেন্দ্রের বাইরে আবির খেলায় মাতলেন তৃণমূল কর্মীরা। একইসঙ্গে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্টিং সেন্টারের মধ্যে জয় বাংলা স্লোগান।  শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেই হল গাজবাজনা। তৃণমূল ২০০ আসনে এগিয়ে আছে এই খবর সামনে আসতেই কালীঘাটে উচ্ছ্বাস তৃণমূল কর্মীদের। চলছে মিষ্টি খাওয়ানো, সবুজ আবির খেলা, কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। করোনাকালে সেখানে চোখে পড়ল না করোনাবিধিও। কারোর মুখে দেখ গেল না মাস্ক। 


কোথাও আবির খেলা, কোথাও খেলা হবে স্লোগান, কোথাও আবার নাচগান। ট্রেন্ড সামনে আসতেই দলীয় কর্মীরা কার্যত ভুলেই গেলেন নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা। কালীঘাট, বালিগঞ্জ, কসবা, বেহালা পূর্ব, বিধাননগর, খিদিরপুর সব জায়গাতেই একই ছবি। হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে বিজয়োল্লাসে মাতলেন তৃণমূল কর্মীরা।


ভোট গণনার আগে ২৮ এপ্রিল নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন গাইডলাইনে জানিয়েছে, নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট ছাড়া, কোনও প্রার্থী বা কাউন্টিং এজেন্টকে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গণনা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে কোনওরকম জমায়েত বরদাস্ত করা যাবে না।


করোনাবিধি লঙ্ঘন নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ত্‍‍সনার পর মঙ্গলবারই এক নির্দেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়, ভোটের ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল করা যাবে না। জয়ের সার্টিফিকেট আনতে প্রার্থীর সঙ্গে দু’জনের বেশি যেতে পারবেন না। যেসব কেন্দ্রগুলিতে ভোটগণনা হবে, সেগুলি নিয়েও একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেয় নির্বাচন কমিশন।


কিন্তু এত কিছুর পরেও রোখা গেল না। নির্বাচন কমিশনের বিধি লঙ্ঘন করার ছবি উঠে এল জেলা থেকে কলকাতায়। আর তাতেই কড়া অবস্থান কমিশনের। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যাঁরা এই বিধি পালনের দায়িত্বে ছিলেন প্রয়োজনে তাঁদের সাসপেন্ড পর্যন্ত করা হতে পারে।