নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে বাংলার ৪ জেলার জেলাশাসককে (ECI Appoints 4 DMs In West Bengal) সরিয়ে সেই জায়গায় ৪ জনকে নিযুক্ত করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম, গতকালই এই চার জেলার জেলাশাসকদের বদলি করতে বলে মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া দিয়েছিল নির্বাচন কমিশ। আর আজ এই ৪ জেলায় জেলাশাসক নিযুক্ত করল তারা। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হলেন জয়শী দাশগুপ্ত। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক করা হল মৌমিতা গোদারা বসুকে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হলেন কে রাধিকা আইয়ার এবং বীরভূমের জেলাশাসক করা হল শশাঙ্ক শেঠিকে।
প্রেক্ষাপট...
গত ১৬ মার্চ, লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার পর থেকেই দেশজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ হয়ে যায়। এবং, তার পর পরই দেখা যায়, বাংলার ডিজিপি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। পর দিন অন্তর্বর্তী ডিজিপি হিসেবে বিবেক সহায়কে নিয়োগ করা হলেও রাজ্যের কাছ থেকে তিন জন বর্ষীয়ান আইপিএস অফিসারের নাম চেয়ে পাঠিয়েছিল কমিশন। সেখান থেকে নতুন DGP করা হয় সঞ্জয় মুখোপাধ্য়ায়কে। এখানেই শেষ নয়।
গত কাল, একসঙ্গে এই রাজ্যের ৪ জেলাশাসককে বদলি করা হয়। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছিলেন তনভির আফজল। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধান রায় এবং বীরভূমের জেলাশাসক ছিলেন পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। সেই জায়গায়, আজ, শুক্রবার, নতুন ৪ জনকে নিযুক্ত করল কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হলেন জয়শী দাশগুপ্ত। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক করা হল মৌমিতা গোদারা বসুকে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হলেন কে রাধিকা আইয়ার এবং বীরভূমের জেলাশাসক করা হল শশাঙ্ক শেঠি। তবে গত কালকের এই রদবদলের সিদ্ধান্ত ভাল ভাবে নেয়নি তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, কমিশনকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা চলছে। পাল্টা জবাব দেয় বিজেপিও।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য...
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশন যে এবার মরিয়া, সেই বার্তা ভোটঘোষণার দিনই দিয়ে রেখেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। অর্থ (Money), পেশিশক্তি (Muscle), ভুল তথ্য (Misformation) এবং আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন (MCC Violation)-এই চারটি যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই মর্মে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। রাজীব কুমার বলেন, 'কোথাও কোনও হিংসার ঘটনা হলে আমরা আপসহীন ভাবে তার মোকাবিলা করব।' 'টাকার খেলা' আটকাতে যে মরিয়া চেষ্টা করা হবে, সেটি স্পষ্ট জানানো হয় সেদিন। ভুয়ো তথ্যে বাড়বাড়ন্ত মোকবিলায় কিছু ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্দেশেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বার্তা ছিল, কোনও খবর ছড়ানোর আগে সেটির সত্যতা যাচাই করে নেওয়া দরকার। সব মিলিয়ে জোরাল সক্রিয়তা কমিশনের।
আরও পড়ুন:জেলাশাসকের দফতরে যেতে 'বাধা', মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত জলপাইগুড়ি