কলকাতা: আগেই ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণা মতোই ৭ মার্চ, মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay joined BJP)। এদিন দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরোন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে নিতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'আজ যোগ দিতে যাচ্ছি।' এবিপি আনন্দেই প্রথম সম্প্রচার করা হয় যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনীতিতে পা রাখবেন বলে এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দেই প্রথম সম্প্রচার করা হয় যে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। এরপরে মঙ্গলবার ইস্তফা দেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। সেইমতোই এদিনের যোগদান কর্মসূচি- অবশেষে এজলাস থেকে রাজনীতির আঙিনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের হাতে থেকে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় ও পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


এদিন সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly Joined BJP) পৌঁছতেই শঙ্খ বাজাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। উলুধ্বনিও দেওয়া হতে থাকে। তাঁর উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। কার্যত উৎসবের চেহারা নেয় রাজ্য বিজেপির সদর দফতর। 

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির একাধিক নেতা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মাঝে বসে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, কৌস্তুভ বাগচি, সজল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।

যোগদানের পরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আজ একেবারে নতুন জগতে পা দিলাম। এই সর্বভারতীয় দলে মহান নেতা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, মঙ্গল পান্জেজি, সুকান্তদার পরামর্শ আমার লাগবে। দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। যে দায়িত্ব আমায় দল থেকে দেওয়া হোক না কেন তা পালন করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং তা পালন করব। আমাদের প্রথম উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল ও একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায়লগ্নের সূচনা করে দেওয়া এই লোকসভা ভোটেই। যাতে ২০২৬ এর ভোটে তারা আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা খুব দরকার। বাংলার প্রয়োজনে। বাঙালি হিসেবে খুব কষ্ট পাই যখন দেখি বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে।'   


আরও পড়ুন: নারী দিবস উপলক্ষ্যে আজ পথে মমতা! মোদি-তোপের পর মহিলা ভোটে নজর?