আমদাবাদ: আগের বার কড়া টক্কর দিয়েছিল কংগ্রেস। এ বারে আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে (Hardik Patel)আত্মপ্রকাশ করেছে আম আদমি পার্টিও। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন  (Gujarat Election 2022)তাই মর্যাদা রক্ষার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি-র কাছে। তবে চিন্তার কোনও কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন না কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে এসে ওঠা, পাটিদার আন্দোলনের নেতা, হার্দিক পটেল (Hardik Patel)। ১৩৫ থেকে ১৪৫টি আসন বিজেপি-র দখলে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।


কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কংগ্রেসে যান হার্দিক, পরে যোগ দেন বিজেপি-তে


বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগণনা শুরু হয়েছে গুজরাতে। সেখানকার বীরমগাঁও থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন হার্দিক। এ দিন গণনাকেন্দ্রের বাইরে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর মুখোমুখি হন হার্দিক। বিজেপি-র জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে, অত্মবিশ্বাসে ভরপুর হার্দিক বলেন, "কাজের উপর নির্ভর করে সরকারের গঠন হচ্ছে। বিগত ২০ বছরে এখানে কোনও দাঙ্গা বা সন্ত্রাস হামলার ঘটনা ঘটেনি। মানুষ জানেন, বিজেপি প্রত্যাশা পূরণ করেছে। পদ্ম বোতামে চাপ দেওয়ার অর্থই হল নিরাপদ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। সুশাসনের মাধ্যমেই গুজরাতের আস্থা অর্জন করেছে বিজেপি।"


আরও পড়ুন: Gujarat Election Result: গুজরাতে সহজ জয় বিজেপি-র, নাকি কড়া টক্কর দেবে আপ! দোলাচল কংগ্রেসকে ঘিরে


এ যাবৎ সব বুথফেরত সমীক্ষাতেই বিজেপি-র জয়ের পূর্বাভাস মিলেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে হার্দিকের কথায়, "১৩৫ থেকে ১৪৫ নিশ্চিত ভাবে পেতে চলেছি আমরা। আমরাই সরকার গড়ব গুজরাতে। কোথাও, কোনও রকম সন্দেহ নেই।"


পটেলদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে ২০১৫ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন হার্দিক। গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। এর পর কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু পর পর বিতর্ক ছেঁকে ধরে হার্দিককে। এমনকি পাটিদার সম্প্রদায়ের তহবিলের টাকা নিজের বিলাসিতার জন্য হার্দিক খরচ করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। 


পটেলদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে ২০১৫ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন হার্দিক


কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে, এ বছর জুন মাসে বিজেপি-তে যোগ দেন হার্দিক। সেই সময় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। রাজনীতির প্রতি রাহুলের উদাসীনতা, দেখা-সাক্ষাৎ না করা নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হন। যদিও চাপসৃষ্টি করেই হার্দিককে বিজেপি-তে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। তবে হার্দিকের দাবি, সামনে থেকে মানুষের সেবা করতে চান বলেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে এসেছেন।