Abhijit Gangopadhyay Announcement Live Updates: তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Abhijit Gangopadhyay retirement : এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তো বটেই। আমি খুব শীঘ্র পদত্যাগ করতে চলেছি বিচারপতির পদ থেকে।"
কেরিয়ার শুরু করেছিলেন WBCS অফিসার হিসেবে। কিন্তু, দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবেন না বলে, সেই চাকরি ছেড়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Ganguly)। তারপর আইনজীবী হিসেবে প্র্য়াকটিস শুরু এবং শেষে বিচারপতির কাজে যোগদান। তাঁর একের পর এক নির্দেশ সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এবার অবসরের আগে বিচারপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ফের চমক দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়।
বঙ্গ রাজনীতিতে নাটকীয় পটপরিবর্তন, বিচারপতি থেকে ভোটের লড়াইয়ে । ইস্তফা দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ইস্তফা, সম্ভবত বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগদান। তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভোটের লড়াইয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেই তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ। 'মাঠে নেমে লড়াই করতে বারবার বলেছিল ক্ষমতাসীন দল'। 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই'।
তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'ইতিহাসে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের কথা পড়েছি, আর এটা চৌর্য সাম্রাজ্য'। দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'তৃণমূলের শাসনে পিছিয়ে পড়েছে বাংলা, চলছে অপমানজনক অধ্যায় '।
'সবদিকে একটা অন্ধকার নেমে আসছে, এই অন্ধকার থেকে মুক্ত হতেই হবে'। 'অন্তর বলছে, আদালতে আমার কাজের সময় শেষ হয়েছে'।
'এবার মানুষের জন্য বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হবে'। 'বিচারপতি হিসেবে কাজ শেষ হয়েছে, নতুন করে কিছু করার নেই'। ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে এবিপি আনন্দে জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেছেন তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তারপর রাজনীতির ময়দানে নামতে পারেন (justice abhijit ganguly on resignation) বলেও জানিয়েছেন। বারবার তাঁর সুখ্যাতি করা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on Jusctice Abhijit Ganguly) কী বললেন? শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, 'রাজনীতির কথা বললেই প্রতিক্রিয়া দেব। ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করলে ক্ষতি নেই। ওঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই আমি প্রতিক্রিয়া দেব।' তিনি বলেন, 'পদত্যাগ গৃহীত হবে কিনা, রাজনৈতিক মঞ্চে যাবেন কি না। সামাজিক কাজ করবেন না কি বই লেখার কাজ করবেন? না কি কোনও অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বাংলার কাজ করবেন? সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। বিজেপির তরফ থেকে বলতে পারি ওঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই আমি প্রতিক্রিয়া দেব।'
লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) আগে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, ৭ মার্চই সম্ভবত বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি। আর জল্পনার মাঝে কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের?
আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ইস্তফা দেবেন বলে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর আগামী বৃহস্পতিবারই বিজেপি যোগ দিতে পারেন তিনি। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজনীতিতে এরকম একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান মানুষ, তিনি যে দলেই যান না কেন সেই দলে উনি সম্পদ হবেন। অ্যাসেট হবেন। আমি বিশ্বাস করি, যেহেতু বিজেপি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পুরো দেশকে আগামীদিনে নিয়ে যাচ্ছে উনি স্বাভাবিক পছন্দ হিসেবে বিজেপিকে মেনে নেবেন। সৎ এবং নিষ্ঠাবান মানুষের রাজনীতি আসা দেশের দশের পক্ষে মঙ্গল। তৃণমূলের অনাচারের বিরুদ্ধে উনি অনেক রায় দিয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে লড়ছে বিজেপি। উনি এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিলে ভেবে দেখব। অন্য দলে গেলে মতাদর্শগত বিরোধিতা থাকবে। ওঁর নিষ্ঠাকে আমাদের দলের কর্মী উচ্চস্থানে রাখেন বলে আমার মনে হয়।''
তিনি যখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) পদে, ইনি তখন রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র। এমন দিন যেত না যখন সাংবাদিক বৈঠকে চাঁছাছোলা ভাষায় বিচারপতিকে (Justice Abhijit Ganguly on Resignation) আক্রমণ করতেন না এই মুখপাত্র। কিন্তু সেই সময় পাল্টেছে, ইনিও আর দলের মুখপাত্র পদে নেই। তিনিও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন রবিবার। কিন্তু এবার আর দেখা মিলল না যুযুধান-ঝাঁঝালো আক্রমণের। বরং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন কুণাল ঘোষ। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly in Politics) এবিপি আনন্দকে জানালেন, তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। যোগ দিতে পারেন রাজনীতিতে। তবে কোন দল তা তিনি এদিন বলেননি। সেই ঘটনা শোনার পরে কী বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সদ্য পদত্যাগী কুণাল ঘোষ? তিনি বললেন, 'রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে রাজনীতিতে এলে স্বাস্থ্যকর। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি।' তবে আরও একটি প্রশ্নও তুলেছেন। 'এই পেশার কেউ রাজনীতিতে এলে আগের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আগের পেশাগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেটাও স্বাভাবিক।' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়েও পোস্ট কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh on Justice Abhijit Ganguly)।
একটা জিনিস স্পষ্ট যে শাসকদলের চ্যালেঞ্জে সাড়া দিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, অর্থাৎ তৃণমূলে কোনও ভাবে যোগ দিচ্ছেন না, অন্য কোনও দলে গেলেও যেতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, "আমি যে দলগুলির নাম করলাম, তার মধ্যে তৃণমূলের নাম নেই। তৃণমূল চালিত বাংলাকে চৌর্যসাম্রাজ্য হিসেবে অভিহিত করেছি। সেই দলে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি দেখতে পাচ্ছি যে সেই দলটি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে, ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। আমি কোন দলে যাব, না যাব, তার চেয়েও বড় কথা হল, পশ্চিমবঙ্গের যে মর্যাদা, তার যে অবস্থান তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেই পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানো যাবে কি যাবে না...ভাবতেই পারিনি পশ্চিমবঙ্গ এই জায়গায় এসে পৌঁছবে, শিল্পের এই অবস্থা হবে, কৃষিতেও শুনছিলাম যে অধিকাংশ কৃষকই অপুষ্টিতে ভুগছেন। ফলে বোঝা যাচ্ছে, কৃষকরাও একটা তাঁদের যা প্রয়োজন, সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকার, তা জোগাড় করতে পারছেন না। সবদিকে অন্ধকার নেমে আসছে কেমন একটা। এই অন্ধকারের হাত থেকে মুক্ত হতেই হবে আমাদের। তার জন্য মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। একা আমি চিৎকার করলে হবে না। আমি যখন এই কাজগুলি করছিলাম, বিচারপতি হিসেবে যে রায় দিয়েছি, দুর্নীতির উদঘাটন করেছি যখন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা হতে উৎসাহিত করেছেন তাঁরা। কেউ বলেননি ভুল করছেন বা বলা উচিত নয়। ইচ্ছে থাকলেও হয়ত বলেননি অনেকে। বরং পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন অনেকে। আশা করব পশ্চিমবঙ্গের শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, পশ্চিমবঙ্গের যে এই দুরাবস্থা, এই অপমানজনক যে অধ্য়ায় চলছে বহু দিন ধরে, সব ক্ষেত্রে যেভাবে নিচে চলে যাচ্ছে, এটা হওয়ার কথা নয়। কোনও মতেই এটা হওয়ার কথা নয় পশ্চিমবঙ্গের। শিক্ষা, শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, এটা আমার পক্ষে যেমন মেনে নেওয়া সম্ভব নয় পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক হিসেবে, তেমনই অনেক সাধারণ মানুষকেও দেখেছি, তাদের মতামত শুনেছি। বইমেলা, বা অনুষ্ঠানে ঘিরে ধরে আমাকে সেই কথাই বলেছেন, উৎসাহিত করেছেন। এখন আমি তাঁদেরকেও উৎসাহিত করব। আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। রাজনীতিতে আগ্রহ প্রকাশ করুন। নইলে যাঁরা শাসক হিসেবে দেখা দিয়েছেন বা দেবেন ভবিষ্যতে, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের উপকার করতে পারবেন বলে মনে হয় না আমার, যদি না তাতে আপনাদের কড়া প্রহরা থাকে। এই কড়া প্রহরা দিতে গেলে রাজনীতিতে আগ্রহ প্রকাশ করতেই হবে।"
রাজনৈতিক দল যদি টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দেয় নেবেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "সেটা ভেবেচিন্তে দেখতে হবে, টিকিট নেওয়াটা কতদূর সঙ্গত হবে। এরকম হতে পারে যে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, রাজনীতি মানে ক্ষমতা দখলের লড়াই, সেই লড়াইয়ের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আমি যেতে পারি। নাও যেতে পারি। টিকিট দেওয়া, না দেওয়া, তার পর যদি সেই রাজনৈতিক দল ভাববে। যদি কোনও দলে যোগ দিই, অনেক দলই আছে, কংগ্রেস আছে, বাম দল আছে, বিজেপি আছে, ছোট অনেক অন্য দল আছে, তারা যদি মনে করে আমাকে টিকিট দেবে, তখন আমি ভেবে দেখব যে সেই প্রার্থীপদ আমি নেব কি, নেব না। এখন চূড়ান্ত কোনও কথা বলব না। যখন সময় আসবে, আপনারা জানতে পারবেন।"
ভোটে দাঁড়াচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ? এ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন : "আমার হাতে নেই সেটা। আমি যদি আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিই, বৃহত্তর ময়দানে তো নামবই। রাজনৈতিক দলে না গেলে আমার মনে হয়েছে যে , আদালতের ক্ষেত্রের বাইরে যে বহু সাধারণ মানুষ আছেন, তাঁদের কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না। ভোটে দাঁড়ানো, না দাঁড়ানো, এই বিষয়ে কোনও কথা আজ বলব না। কোনও রাজনৈতিক দলে যদি যাই, এখনও ভোট ঘোষণা হয়নি। যদি যোগ দিই কোনও দলে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে।"
"বৃহত্তর ক্ষেত্রে আমাকে যেতে হচ্ছে। সেই জন্য আমি আমাদের ক্ষমতাসীন দলকে অভিনন্দন জানাব যে, আমি যখনই কোনও ন্যায়বিচার করতে গিয়েছি, যেখানে ন্যায্যতা থাকবে, যখনই তাদের পছন্দ হয়নি, তাঁদের বিভিন্ন মুখপাত্র বিচারপতির উদ্দেশে, আদালতের উদ্দেশে অত্যন্ত অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন। আমি খুব সিরিয়াসলি নিইনি সেগুলো। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নিইনি, যদিও ব্যবস্থা নেওয়ার অবকাশও ছিল। এমনকী কিছু দালালও কালো কোট গায়ে দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিল, যাঁরা একই রকম গালাগালি করত, বিভিন্ন চ্যানেলে এবং ইউটিউবে। তবে আমি গ্রাহ্য করিনি, কারণ আমি জানতাম, আমি কী করতে চলেছি এবং কী করছি এবং সেটা আইন অনুযায়ী হচ্ছে কি না। তাই এই সব রঙ্গ-ব্যঙ্গ অপমান, বারে বারেই ওই দলের তরফে বলা হয়েছে, সামনে মাঠে আসুন, এসে লড়াই করুন। আমি ভেবে দেখলাম, তাঁরা যখন ডেকেইছেন এত করে, এত ধরনের ব্যঙ্গ এবং অপমানজনক কথা বলেছেন, তাহলে তাঁদের ইচ্ছেটাই পূর্ণ হওয়া উচিত। তাই একপ্রকার তাঁদের এই অপমানজনক কথাবার্তা এবং পাশাপাশি যে আহ্বান, মাঠে এসে বলুন, সেই জন্যই পদ ছেড়ে চলে আসার সিদ্ধান্ত। বিচারপতি হিসেবে এখন যে মামলা আমি শুনি, তাতে বিশেষ কিছু করার নেই। বহু দফতরে বহুরকমের দুর্নীতির উদঘাটন হয়নি। হলে বোঝা যাবে, কী দুর্নীতির রাজ্যে বাস করছি। ইতিহাসে মৌর্য সাম্রাজ্যের কথা পড়েছি, এখন আমরা চৌর্য সাম্রাজ্য দেখছি চোখের সামনে। আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করার জন্য শাসকদলকেই অভিনন্দন জানাব। বৃহত্তর ক্ষেত্রে আমি আসছি।" এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি সৌভিক মজুমদারকে জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
"রাজনীতির ময়দানেই আমি যাব। কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে শুরু করব, সেটা আজই বলছি না। কাল আমার যে সামান্য কাজটুকু আদালতে রয়েছে, সেটুকু করে চলে যেতে চাই, যাতে কেউ বলতে না পারেন যে আমার কোনও সিদ্ধান্ত একপেশে হয়েছে। কারণ আমি গত সাত দিন ছুটি নিয়েছিলাম ব্যক্তিগত কারণে। কোনও রায় দিইনি। আগামী কালও আদালতে যখন বসব, শুধু কতগুলি মামলা ছেড়ে দেব, যেগুলি শুনানির জন্য মার্ক করা আছে। তবে রায় দেওয়ার নেই। আর কিছু করব না। আদালত থেকে উঠে আসব। প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে দেব মৌখিক ভাবে। তার পর পরশু সকালে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেব ফার্স্ট আওয়ারেই।" এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি সৌভিক মজুমদারকে জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা : সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। পরের পর মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI তদন্তেরও নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এবার বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিতে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার পদত্যাগ করবেন তিনি। তার পর বড় ঘোষণা করবেন বলেও জানান।
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি সৌভিক মজুমদারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, "আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তো বটেই। আমি খুব শীঘ্র পদত্যাগ করতে চলেছি বিচারপতির পদ থেকে। মঙ্গলবার ইস্তফা দেব। এই সিদ্ধান্তের বিশদ কারণ পরে বলব। আজ শুধু এটুকু বলব যে, আদালতে আমি যে কাজটা করি, সেই কাজের সময়টা আমার অন্তর বলছে যে শেষ হয়েছে। এখন হয়ত আমাকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হবে, মানুষের মধ্যে। আমি একটা বৃহত্তর ক্ষেত্রে পদার্পণ করতে চাই। কারণ আদালতে তাঁরাই আসেন, যাঁরা মামলা করতে চান। তার বাইরে বহু মানুষ পড়ে থাকেন। আমার মনে হয়েছে বিচারব্যবস্থায়, আদালত নামের যে প্রতিষ্ঠান, যেখানে ছ'বছর বিচারপতি হিসেবে কাজ করলাম, সেখানে আমার কাজ শেষ হয়েছে। এখানে আর নতুন করে কিছু করার নেই।"
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -