বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: এবারের লোকসভা ভোটে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।  একে গরমের দাপট, তার উপর প্রচারের ঝক্কি৷ দু’দিক সামলে সুস্থ থাকাটাই চ্যালেঞ্জ৷

  ভোটের লড়াইয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে, হালকা খাবারেই আস্থা রাখছেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। তীব্র গরমের মধ্যে যখন নাওয়া-খাওয়ার অনিয়মই দস্তুর, তখন শরীর সুস্থ রাখাটাও চ্যালেঞ্জ। দিনভর ব্যস্ততার মাঝে হালকা খাবার আর লিকুইড ডায়েটে ভরসা রাখছেন তৃণমূল প্রার্থী।


প্রখর রোদের মধ্যেই চষে ফেলতে হচ্ছে গলি থেকে রাজপথ। গ্রীষ্মের দাপটে সুস্থ থাকতে দেবাংশুর ভরসা লিকুইড ডায়েট। প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে ডাবের জল, গ্লুকোজ, ORS খেতে ভুলছেন না তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী। লিকার চা আর বিস্কুট দিয়ে দিন শুরু করেন দেবাংশু। জলখাবারে কখনও থাকে মুড়ি, শশা কখনও খান ব্রেড টোস্ট। তারপরে বেরিয়ে পড়েন প্রচারে। বেশিরভাগ দিন দুপুরে খাওয়া হয় কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে। দেবাংশুর মধ্যাহ্ন ভোজে মোটামুটি থাকে - ভাত, ডাল, আলুভাজা, শুক্তো, সবজি, চাটনি ইত্যাদি।  লিকার চা আর বিস্কুট দিয়েই বিকেলের জলখাবার সারেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী। সন্ধেবেলাও একপ্রস্থ প্রচার সারতে হয় তরুণ তৃণমূল প্রার্থীকে। বেশিরভাগ দিন দেবাংশুর রাতের খাবারে থাকে মাছের ঝোল ভাত। 'বাড়িতে থাকলে রাতে রুটি খাওয়া হত এখন সকলের জন্য রুটি করা মুশকিল তাই দুবেলাই ভাত খেতে হচ্ছে।' জানালেন দেবাংশু।              


পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে জল ও খনিজ লবণের ভারসাম্য় বজায় রাখতে সাহায্য় করে ORS। ভাতে থাকে শর্করা ও ক্যালোরি। ডালে থাকে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার, খনিজ এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি উপাদান। সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।  মাছে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন-এ এবং ক্যালসিয়াম। এসবের কারণেই, সুস্থ থাকে শরীর, মেলে শক্তি।  


তৃণমূলের আইটি সেলের দায়িত্বে আছে দেবাংশু। ঘাসফুল শিবিরের তরুণ তুর্কিদের মধ্যে এক জন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা অর্জন করেছেন দেবাংশু। তাই তো তমলুকে প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ওকে আমি দাঁড় করিয়েছি একটাই কারণে যাতে সাফ সুতরা করতে পারে। মহিষাদল সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে পারে।' 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২১ এর বিধানসভা ভোট থেকে যে '  খেলা হবে ' স্লোগান তৃণমূলে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তা প্রথম উঠে আসে দেবাংশুর মুখেই। এখন দেবাংশুর কেন্দ্রে খেলা কোনদিকে ঘোরে , সেটাই দেখার।