বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের বাংলার মসনদ দখল তৃণমূলের। অন্যদিকে মাত্র ৭৬টি আসনে দখল কংগ্রেস-সিপিএম জোটের। দ্বিতীয়বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় ট্যুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হতেই কালিঘাটে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে উৎসবে মেতে ওঠেন তৃণমূল সমর্থকরা। এই জয় সাধারণ মানুষের জয় বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলনেত্রী। আগামী ২৭ মে রেড রোডে শপথ নেবে নতুন সরকার।
এদিন গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, চালকের আসনে কারা বসছেন। কিন্তু, সব একজিট পোলের পূর্বাভাসকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে একেবারে একাই ডবল সেঞ্চুরি পার করল তৃণমূল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ২৯৪ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় ২১১ আসন দখল করেছে তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছে ৭৬ আসন। বিজেপি রেখেছে ৩টি এবং অন্যান্যরা ৪টি।
এ বার লড়াটা কিন্তু ছিল বেশ কঠিন। কারণ, প্রতিপক্ষদের হাতে ছিল নানা অস্ত্র। দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সিন্ডিকেট-তোলাবাজি-উড়ালপুল বিপর্যয়। অস্ত্র যাই হোক না কেন, বিরোধীদের নিশানায় ছিলেন একজনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধীরা নিশানা করেছে। পাল্টা তিনিও সুর চড়িয়েছেন। একদিকে বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা জবাব। পাশাপাশি, মানুষের কাছে আবেদন, শুধুমাত্র তাঁকে দেখে ভোট দেওয়ার জন্য।
ভোট হয়েছে দফায় দফায়। মমতাকে নিশানা করে বিরোধীরা ক্রমশ আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে। ছেড়ে কথা বলেননি তৃণমূলনেত্রীও। প্রায় প্রতিটি সভা থেকে তিনি জবাব দিয়েছেন। আর ১৯ তারিখ একেবারে মোক্ষম জবাব। ২০০৬ সালে এক হয়ে যাওয়ার পর যে ভাবে দলকে তুলেছিলেন একার হাতে, ঠিক সেভাবেই এবার একেবারে দুশো পার। যাকে বলে কার্যত একা হাতে ম্যাচ জেতানো। একার হাতে ভোট বৈতরণী পার করানো।