নয়াদিল্লি: 'ইভিএম বেঁচে আছে নাকি দেহ রেখেছে', প্রশ্ন করছেন নরেন্দ্র মোদি (Modi On EVM Controversy)। প্রশ্ন নাকি বিদ্রুপ, সেটা অবশ্য বুঝতে অসুবিধা হয়নি সেন্ট্রাল হলে বসে থাকা এনডিএ শরিকদলের (NDA Alliance Meet) সদস্যদের। হাসিতে ফেটে পড়েন তাঁরা। সেই পরিবেশেই মোদির সংযোজন, 'বিরোধীরা চেয়েছিল ভারতের গণতন্ত্রের ওপর আস্থাই যাতে নষ্ট হয়ে যায়। ক্রমাগত ইভিএম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল, তবে ইভিএম সঠিক জবাব দিয়েছে।'
বিশদ...
বিরোধীরা যে ভাবে ইভিএম-ইস্যুতে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন, শুক্রবার সেন্ট্রাল হলে সেই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, 'ওরা ঠিক করে রেখেছিল যে ইভিএম সম্পর্কে লাগাতার ভুলভাল মন্তব্য করে যাবে। আমার তো এরকম মনে হচ্ছিল যে এবার হয়তো ইভিএমের মরদেহ নিয়ে মিছিল করবে। কিন্তু ৪ জুন সন্ধে হওয়ার আগেই এদের মুখে তালা পড়ে গিয়েছিল। ইভিএম ওদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।' ভারতের গণতন্ত্রের এটাই শক্তি, মনে করেন মোদি। এর পরে ফের বিদ্রুপ, আশা করছি, 'আগামী পাঁচ বছর ইভিএম নিয়ে আর কিছু শুনতে হবে না। কিন্তু যখন ২০২৯ সালের ভোট আসবে, তখন হয়তো ইভিএম নিয়ে আবার নাচানাচি শুরু হবে।'
এদিনের বক্তৃতায় বিরোধীদের কখনও কড়া ভাষায়, কখনও আবার ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন মোদি। তবে একই সঙ্গে তিনি মনে করান, যা বিরোধিতা সবটাই সংসদের ভিতর। সকলের মনে রাখা দরকার, বিরোধিতার সবটাই নিজেদের মধ্যে, দেশের বিরুদ্ধে কোনও কিছু নয়। সেই জায়গায় সব কিছুই এক। সব মিলিয়ে নরমে-গরমে বিরোধীদের বার্তা দেন তিনি। জয়ী সকল সাংসদকে অভিনন্দনও জানান।
আর যা...
মোদি মনে করেন. '২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন সব দিক থেকেই এনডিএ-র মহাবিজয়'। তবে তিনি যে আশপাশের আলোচনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, সেটিও বুঝিয়ে দিয়েছেন। বললেন, 'দুদিন এমনভাবে চলল যেন আমরা হেরে গেছি। এনডিএ সবথেকে মজবুত জোট সরকার।' তাঁর মতে, দশ বছর পরও কংগ্রেস মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। গত তিনটে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মোট যত আসন পেয়েছে, বিজেপি যে শুধু এবারেই তার থেকে বেশি আসন পেয়েছে সেও বলতে ভোলেননি মোদি। ঘটনা হল, জোট হিসেবে এনডিএ এবার সরকার গঠন করতে পারলেও বিজেপির আসনসংখ্যা গত দুবারের নিরিখে অনেক কমেছে। জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতা এখন থেকেই টের পাচ্ছেন মোদি-শাহ, এমনই খবর রাজনৈতিক মহলে। তবে প্রকাশ্যে তা আনতে নারাজ এনডিএ। সেই সুরই বজায় রইল এদিন।
আরও পড়ুন:রাজ্যে কে, কোন আসনে কত ব্যবধানে জিতলেন ? একনজরে দেখে নিন টেবিলে