গৌতম মণ্ডল, মথুরাপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুরের দহকন্দা গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে জখম 'দুষ্কৃতী' (Anti Social Element Injured) । আহতের পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএমের দাবি, আরিফ হোসেন নামে ওই দুষ্কৃতী তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ অস্বীকার করে আহত দুষ্কৃতী আইএসএফ (ISF) সমর্থক বলে দাবি করেছে তৃণমূল (TMC) যা অস্বীকার করেছে আইএসএফ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গত কাল অর্থাৎ রবিবার বাড়ির পাশেই বোমা বাঁধছিল আরিফ। হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। পুলিশের কাছে বোমা বাঁধার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ...
মাসখানেক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হন ১১ জন, বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও খবর। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দেহ, দেহাংশের ছবি দেখে শিউরে ওঠেন রাজ্যবাসী। জানা যায়, ঘটনার দিন বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেঠিল পুরো এলাকা। গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে বাজি কারখানা চলত, জানান স্থানীয়রা। ওড়িশা সীমানার কাছে এগরায় বাজি কারখানায় ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বাজি কারখানার আড়ালে অন্য কিছু কি চলছিল? সন্দেহ স্থানীয়দের। পরে কটকের হাসপাতালে মারা যায় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগও। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁর বয়ান নেওয়া যায়নি, খবর সিআইডি সূত্রে। বিস্ফোরণের পর এলাকা থেকে পালিয়েছিলেন ভানু, আরও খবর সিআইডি সূত্রে। কটকের হাসপাতালে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ। ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বোমা তৈরি হত বলে অভিযোগ। ওই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন ভানু বাগ, শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের পর বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু বাগ। ছেলে-ভাইপোর সঙ্গে বাইকে চেপে পালান তিনি। ঝলসে যাওয়া অবস্থাতেই বাইকে চেপে ওড়িশায় পালান, এমনই উঠে এসেছে প্রাথমিক ভাবে। বাইকে করে প্রথমে বালেশ্বর যান ভানু, ভর্তি করা হয় এফএমএমসিএইচ হাসপাতালে। 'অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহত হওয়ার কথা বলেছিলেন সেখানকার ডাক্তারদের। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কটকের রুদ্র হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাচক্রে তার মৃত্যুর দিনই এগরায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ ও তার পরিবারের ২ জনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং বিস্ফোরক আইনের ৯ নম্বর ধারা যুক্ত করে সিআইডি। এর আগে, ভানু বাগ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অনিচ্ছাকৃত খুন, পুলিশের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করা, বিস্ফোরক পদার্থের ব্যাপারে অবহেলামূলক আচরণ ও ফায়ার সার্ভিস অ্য়াক্টের ২৪ ও ২৬ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তুমুল প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রশাসন।
পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের এই ঘটনায় সেই ছায়া কিছুটা হলেও দেখেছেন কেউ কেউ। সঙ্গে প্রশ্ন, কেন বোমা বাঁধা হচ্ছিল? কার নির্দেশে হচ্ছিল এই কাজ? অর্থের উৎস কী?
আরও পড়ুন:কোঁকড়ানো চুল ধুয়ে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে?