অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রোজ নানা প্রয়োজনে গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ কলকাতায় ভিড় করেন। তাদের কথা মাথায় রেখে এবার শহরেও পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করছে বিজেপি। কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে।
গ্রাম বাংলার ভোটে, শহর এলাকায় প্রচার গেরুয়া শিবিরের। প্রতিদিন কাজের জন্য মফস্বল, গ্রাম থেকে বহু লোক শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় আসেন। যখন গ্রামে প্রচার হয় তখন তাঁরা কাজ করতে বেরিয়ে যান। ফলে তাঁদের কাছে পৌঁছতে এবার শহরেই চলছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার। এমনই অভিনব কৌশল নিয়েছে বিজেপি। শিয়ালদা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা-সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিজেপির ভোট প্রচারের হোর্ডিংয়ে ছয়লাপ হয়েছে। এই জায়গাগুলি কলকাতা শহরের মূল বাণিজ্যিক জায়গা। বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এখানে প্রতিদিন জীবিকার প্রয়োজনে আসেন। ছোট-বড় ব্যবসা, স্বনিযুক্তি পেশা, চাকরির জন্য এখানে আসা-যাওয়া করেন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বহু মানুষ। দিনভর শহরে থাকলেও আদতে তাঁরা পঞ্চায়েতের ভোটার। সেই কথা মাথায় রেখেই শহরেও ভোট প্রচারের পন্থা নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটেও বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই ভোট চাইছে বিজেপি। পঞ্চায়েত স্তরের ভোটারদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে ভরসা প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে পোস্টার, ব্য়ানার, ফ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলিধর সেন লেন, গিরিশ পার্ক এলাকায় বহু পোস্টার, হোর্ডিং লাগানো হয়েছে।
কী বলছেন বিজেপি নেতৃত্ব:
বিজেপির নেতা রাহুল সিন্হা বলেন, 'সারা রাজ্যের মানুষ কলকাতায় আসে। সেই মানুষের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছেন বিজেপির কর্মীরা। এটি অত্যন্ত নতুন উদ্যোগ।' এই উদ্য়োগে পঞ্চায়েত ভোটে সাড়া মিলবে বলেই মনে করছেন বিজেপি রজ্য নেতারা।
তৃণমূলের কটাক্ষ:
যদিও এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর কটাক্ষ, 'আসলে পরিশ্রম করতে চাইছেন না। গ্রামে যাওয়া, প্রখর গ্রীষ্মের সময়, তার উপর ঝড়-ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি। তাই গ্রামে না গিয়ে কলকাতা শহরেই প্রচার করে সহজে বাজিমাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
ব্যালট বাক্সের লড়াই শুরুর আগে জনসংযোগেও একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো।