পশ্চিম মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখলের লড়াইয়ে কারা এগিয়ে? C Voter-র সমীক্ষায় পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট আসন ৬০। সমীক্ষা অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন কোন দল কত পেতে পারে তা দেখে নেওয়া যাক-
তৃণমূল কংগ্রেস ৩২-৪২ আসন পেতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বিজেপি ১৮-২৪ আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট ০-৪ আসন পেতে পারে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছবিটা কেমন ছিল তা একবার দেখে নেওয়া যাক -
সেবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পরিষদে মোট আসন ছিল ৫১টি। তৃণমূল ৫১টি আসনেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। বিজেপি হোক বা বাম-কংগ্রেস কেউই খাতা খুলতে পারেনি।
কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক
প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
কিন্তু, যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? তার আঁচ পেতে রাজ্য়জুড়ে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। এরাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে।
এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ। এই সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। শুধু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভোটারদের ভাবনার আভাস পাওয়ার চেষ্টা। যে কাজ আন্তর্জাতিক খ্য়াতি সম্পন্ন সংস্থা সি ভোটার প্রায় তিন দশক ধরে করে আসছে।