কলকাতা: ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে ফের হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। প্রতি বুথে ৪জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েনের দাবি সরকারি কর্মীদের সংগঠনের।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে,২০১৩ সালে যে সংখ্য়ক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, এবার তার থেকে কম বাহিনী চাইলে হবে না, বরং তার থেকে বেশি চাইতে হবে, কারণ এখন জেলার সংখ্যা বেশি। সুপ্রিম কোর্টে পরাজয়ের পর, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এক বিশেষ কৌশল নিয়েছিল রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। তাতেই এই রায়ের পথে হাঁটল কলকাতা হাইকোর্ট।
নিরাপত্তা চেয়ে ফের হাইকোর্টে: ২২টা জেলা সাড়ে ৬১ হাজারের বেশি বুথ । অথচ তার নিরাপত্তায় মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। তাদের এই ভূমিকায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, ২২ কোম্পানি অর্থাৎ মেরে কেটে ১ হাজার ৭৬০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠুভোট সম্ভব? এরইমধ্য়ে সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ দাবি করে প্রতি বুথে অন্তত ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। অর্থাৎ হাফ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
২২ কোম্পানি বাহিনী এলে, মেরেকেটে রাজ্যের ৪৪০টি বুথে ভোটের দিন আধা সেনা মোতায়েন করা যেত। যেখানে গোটা রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬১ হাজার।আগে, ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের নির্দেশের পর ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল রাজ্য নির্বাচন। সেবার গ্রাম বাংলার ভোট হয়েছিল ৫ দফায়। প্রত্যেক দফায় গড়ে ১৬৫ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। অর্থাৎ সেবার এক দফায় যত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, এবার রাজ্য জুড়ে এক দফার ভোটে তার সাড়ে সাত ভাগের একভাগ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চাইছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু শেষ অবধি পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে হস্তক্ষেপ করল সেই কলকাতা হাইকোট। রাজ্য় নির্বাচন কমিশনকে ভৎসনা করে জানিয়ে দিল, ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের চেয়েও এবার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে হবে।
আরও পড়ুন: Homemade Candle: রং-সুগন্ধের সমাহার, ঘরেই চটজলদি তৈরি মোমবাতি