রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ভোটসন্ত্রাসে জেরবার মুর্শিদাবাদ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহারের পর এবার মুর্শিদাবাদে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।আজ সকালে কলকাতা স্টেশন থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে চেপে হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। সকাল ১০.১৮ নাগাদ বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে নামেন তিনি। সাড়ে ১১টা নাগাদ নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান রাজ্যপাল। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। 
এরপর নবগ্রাম থেকে সাড়ে ১২টা নাগাদ খড়গ্রামে পৌঁছন তিনি। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। তাঁর বাড়িতেও যান সিভি আনন্দ বোস। 


এবার নদিয়ার ফুলিয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান। সঙ্গে পাঠানো হয়েছে তুলসি গাছ, গীতা, ধূপকাঠি, মিষ্টি।  বিজেপি প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। ভয় দেখাতে এইসব করা হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 


ভোটের আগের দিনও দিকে দিকে সন্ত্রাস। শেষলগ্নে উড়িয়ে আনা হল বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথে বুথে পৌঁছতে শুরু করেছেন ভোটকর্মীরা। কাল পঞ্চায়েত ভোট, লেহ্ থেকে এয়ারলিফটে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। লেহ্ থেকে এয়ারলিফট করে, পানাগড়ে আনা হল ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এল ২ প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পানাগড়ে পৌঁছনোর পর, সেখান থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করা হবে। ১ থেকে ২টি বুথে মোতায়েন থাকবে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ৩ থেকে ৪টি বুথ আছে এমন জায়গায় মোতায়েন থাকবে ৮ জন জওয়ান। ৫ থেকে ৬টি বুথ আছে এমন জায়গায় থাকবে ১২ জন জওয়ান। 


রাজ্য়ে আসা মোট ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেলাওয়াড়ি বণ্টন চূড়ান্ত। সবচেয়ে বেশি ৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে মুর্শিদাবাদে । ৩৭ কোম্পানি থাকবে হাওড়ায়, ৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে পূর্ব বর্ধমানে। ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে উত্তর ২৪ পরগনায়, ৩০ কোম্পানি মালদায় । ২৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে হুগলি, কোচবিহারে। পুরুলিয়া ও উত্তর দিনাজপুরে মোতায়েন থাকবে যথাক্রমে ২৬ ও ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। 


পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন ফের বিস্ফোরক আব্দুল করিম চৌধুরী। তৃণমূল এখন বেইমান দলে পরিণত হয়েছে, মন্তব্য বিদ্রোহী আব্দুল করিম চৌধুরীর। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে নিজের দলকেই নিশানা । তৃণমূলের সঙ্গে নির্দল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করিম চৌধুরীর । 'তৃণমূলের লোকেদের হাতে বন্দুক আছে। ইসলামপুরে নির্বিঘ্নে ভোট করতে পারবে না পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার'। দাবি ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর