কলকাতা: লোকসভা ভোটের(Lok Sabha Election 2024) আগে ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইলেক্টোরাল বন্ডের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করেছে স্টেট ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তাতেই যা তথ্য এসেছে তা চোখ কপালে তুলেছে সাধারণ নাগরিকদের। বিজেপিকে নিশানা করেছে বিরোধীদের একাংশ। এবার সেই ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়েই মুখ খুললেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Electoral Bond)।
ইলেক্টোরাল বন্ডের (Electoral Bond) তথ্য় প্রকাশ্যে আসায় তা বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দিয়েছে কি? পিটিআই সূত্রের খবর, এই বিষয়টিই নাকচ করেছেন মোদি। তাঁর মতে কোনও নিয়মই নিখুঁত নয়, কোনও সমস্যা থাকলে তা দ্রুত ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যাঁরা বিষয়টি নিয়ে বেশি 'নাচানাচি' করছে তারা পস্তাবে বলেও মন্তব্য করেছেন মোদি, খবর পিটিআই সূত্রে।
পিটিআই সূত্রের খবর, Thanti TV- তে একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সামনে আসায় শাসক হিসেবে বিজেপির জন্য কি ক্ষতিকর হয়েছে? তার উত্তরে মোদি (Narendra Modi) বলেছেন, 'আমায় বলুন আমরা এমন কী করেছি যে আমার এটাকে ধাক্কা বলে দেখা উচিত? আমি বিশ্বাস করি যাঁরা এটা নিয়ে বেশি লাফালাফি করছেন তাঁরা পস্তাবেন।'
মোদির দাবি, তাঁর সরকারের তৈরি ইলেক্টোরাল বন্ডের নিয়মের কারণেই তহবিলে কারা টাকা দিয়েছেন এবং কার কার ঝুলিতে টাকা গিয়েছে তা বের করা সম্ভব হয়েছে। তুলনা টেনেছেন তাঁর আগের আমল নিয়েও। ২০১৪ সালের আগে কোনও এজেন্সি রাজনৈতিক দলগুলির তহবিল নিয়ে এমন কোনও তথ্য দিতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁর সংযোজন, 'কোনও নিয়মই নিখুঁত নয়। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে যা ঠিক করা হবে।'
ইলেক্টোরাল বন্ডে যে সমস্ত শিল্প সংস্থা যা যা টাকা দিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাগ গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। অর্থপ্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। তালিকায় রয়েছে ভারতের আরও একাধিক রাজনৈতিক দল। একমাত্র রাজনৈতিক দল সিপিআইএম ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে কোনও অর্থ নেয়নি। এই বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যে মামলা হয়েছিল তার অন্যতম মামলাকারীও ছিল সিপিআইএম।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গিয়েছে, এমন অনেক শিল্প সংস্থা বিপুল অর্থের বন্ড কিনেছে যাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করেছে। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদের একাংশ। পিটিআই সূত্রের খবর, ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অনুচিত। তাঁর দল শুধুমাত্র ভোটের জন্য লড়াই করে না বলেও জানান তিনি। শুধু ভোট তাঁর লক্ষ্য থাকলে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করা হতো না বলে জানান তিনি। মোদি তুলে আনেন তামিলনাড়ুর প্রসঙ্গও। যখন তামিলনাড়ুতে বিজেপির একজনও জন প্রতিনিধি ছিল না। তখনও তামিলনাড়ুর জন্য বিজেপি সরকার কাজ করেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঝড়ে বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ির আনাচ-কানাচে মমতা, গভীর রাত পর্যন্ত পথে মুখ্যমন্ত্রী