পুদুচেরি: আস্থাভোটে হেরে গেলেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। ফলে সরকারের পতন হল।


আজ বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি ছিল। এই আস্থাভোটের প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন নারায়ণস্বামী নিজেই। তবে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার আগেই ৩৩ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস-ডিএমকে জোট সরকারের শক্তি কমে হয় ১১। উল্টোদিকে, বিরোধীদের সংখ্যা ছিল ১৪। আস্থাভোট চলাকালীন নিজের বক্তব্য শেষ করার পর দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে ওয়াকআউট করেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সরকারের পতন হয়। বিধানসভার স্পিকার ভি পি শিবাকলুন্ধু জানিয়ে দেন, আস্থা প্রস্তাবের পক্ষে যথেষ্ট সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন পাওয়া যায়নি।



সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রাজভবনে গিয়ে উপরাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজনের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নারায়ণস্বামী। এরপর তিনি বলেছেন, ‘আমি, মন্ত্রীরা, কংগ্রেস, ডিএমকে ও নির্দল বিধায়করা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি এবং সেটি গ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছি।’



রবিবার পদত্যাগ করেন কংগ্রেস বিধায়ক কে লক্ষ্মীনারায়ণ ও ডিএমকে বিধায়ক কে বেঙ্কটেশন। ফলে জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এরপরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে আস্থাভোটের দাবি জানানো হয়। সেই দাবি মেনে নেন নারায়ণস্বামী।আজ সেই আস্থাভোটে পরাজিত হল সরকারপক্ষ।



আজ বিধানসভায় আস্থাভোট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন নারায়ণস্বামী বলেন, ‘প্রাক্তন উপরাজ্যপাল কিরণ বেদী ও কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের সঙ্গে মিলে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। আমাদের বিধায়করা ঐক্যবদ্ধ থাকায় গত পাঁচ বছর ধরে সরকার চালাতে পেরেছি। আমরা যে টাকা চেয়েছিলাম, সেটা না দিয়ে পুদুচেরির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে আমরা দু’টি ভাষা ব্যবহার করি। কিন্তু বিজেপি জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’



নারায়ণস্বামী আরও বলেন, ‘আমরা ডিএমকে ও নির্দল বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিলাম। তারপর অনেকবার ভোট হয়েছে। আমরা সব উপ-নির্বাচনে জয় পেয়েছি। এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, আমাদের উপর পুদুচেরির মানুষের আস্থা আছে। বিধায়কদের দলের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত। যে বিধায়করা পদত্যাগ করেছেন, তাঁরা মানুষের মুখোমুখি হতে পারবেন না। কারণ, মানুষ তাঁদের সুযোগসন্ধানী বলবেন।’