সুনীত হালদার ও সুব্রত গলুই, হাওড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দেওয়ার শেষ দিনের আগের রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উলুবেরিয়ার (Uluberia) রাজাপুর থানার অন্তর্গত কুলগাছিয়া শ্রীরামপুর। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, তাঁরা যাতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারেন, সে জন্য তাঁদের বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করেন সিপিএম কর্মীরা। যদিও সিপিএম জানিয়েছে এই ঘটনা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের নজির। তাদের নিজেদের লোকেরাই এটা করেছে, মনে করে বামেরা।


কী ঘটেছিল?
গত কাল রাতে, বোমাবাজি এবং ভাঙচুর নিয়ে উত্তপ্ত উলুবেরিয়া দু'নম্বর ব্লকের তুলসিবেরিয়া অঞ্চলের কুলগাছিয়া শ্রীরামপুর গ্রাম। ওই এলাকার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি খোকন মন্ডলের দাবি, আজ তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা। তার আগে গতকাল রাতে তাঁরা বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলেন। সেই সময় এলাকার সিপিএম কর্মী নাসির খান ওরফে কালো দলবল নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাইক এবং গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বাড়িতে মুড়ি-মুরকির মত বোমা ছোড়ে সিপিএম কর্মীরা, দাবি তৃণমূল নেতার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রাজাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করেছে। দুষ্কৃতীরা বোমা মারার পর গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায়। তৃণমূলের যুব নেতা খোকন মন্ডলের অভিযোগ, তাঁরা যাতে আজ মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারেন তার জন্য আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে সিপিএম। যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সাবিরউদ্দিন মোল্লা বলেন, সিপিএম মারধর ও বোমাবাজির কালচারের বিশ্বাস করে না। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। সিপিএমের আরও মত, ওরা নিজেরা যে বোমাবাজি করবে, তার রাস্তাই আগে থেকে পরিষ্কার করছে।


প্রেক্ষাপট...
মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যের নানা প্রান্তে অশান্তির অভিযোগে ইতি নেই। গত পরশু ও গত কাল ভয়ঙ্কর ভাবে তেতে ওঠে ভাঙড় ও ক্যানিং। এমনকি, আজ, মনোনয়ন পর্বের ফাইনাল ডে-তেও  ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। মনোনয়ন কেন্দ্রের কিছুটা দূরে বাসন্তী হাইওয়ের নলমুড়ি হাসপাতাল মোড়ে সকাল থেকে জড়ো হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। একের পর এক গাড়িতে চড়ে লাঠি হাতে হাজির হচ্ছেন শাসকদলের কর্মী, সমর্থকরা। একদিকে যখন এই ছবি, তখন গত ২ দিনের মতো ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত। পুলিশ মাঝেমধ্যে হঠিয়ে দিলেও, এলাকায় এখনও শাসকদলের কর্মী, সমর্থকদের ভিড়। ফলে আরও একবার মনোনয়ন ঘিরে গন্ডগোলের আবহ ভাঙড়ে।


আরও পড়ুন:ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য কী ? প্রতিরোধের উপায় কী ?