লখনউ: রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে তরজা জারি। এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে গোমাংস খাওয়ায় ছাড় দেবে বলে দাবি করলেন তিনি। শনিবার লখনউয়ে এই দাবি করেন তিনি। কংগ্রেস এবং বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোট গোমাংস খাওয়ার পক্ষে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। (Yogi Adityanath) যদিও কংগ্রেসের ইস্তেহারে গোমাংসের উল্লেখ নেই।
লখনউয়ে যোগীকে বলতে শোনা যায়, "দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গোমাংস মুখেও তোলেন না। কারণ হিন্দুদের কাছে গরু অত্যন্ত পবিত্র। কংগ্রেস এক্ষেত্রে মুসলিমদের ছাড় দিতে যায়, যা কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের ধর্মে গরুকে মা বলা হয়, অথচ নির্লজ্জ কংগ্রেস গোমাংস খাওয়ার অধিকার প্রদান করতে চায়। কসাইদের হাতে গোমাতাকে তুলে দিতে চায়। ভারত কি এটা মেনে নেবে?" (Lok Sabha Elections 2024)
এই যদিও প্রথম বার নয়, এর আগে, শুক্রবারও এমন দাবি করেন যোগী। তাঁর দাবি ছিল, সংখ্যালঘুদের গোমাংস খাওয়ার অধিকার প্রদান করতে চায় কংগ্রেস। তবে যোগী এই দাবি করলেও, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে কোথাও গোমাংসের উল্লেখ নেই।
উত্তরপ্রদেশে যোগীর আমলে গোহত্যা নিয়ে কড়া আইন আনা হয়েছে। ১০ বছরের জেল হওয়ার পাশাপাশি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। পাশাপাশি, গরুর অঙ্গচ্ছেদের ক্ষেত্রে সাত বছরের জেল এবং ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জেলের বিধানও রয়েছে। ২০২০ সালে অর্ডিন্যান্স জারি করে এই নয়া আইন আইন চালু করে রাজ্যের বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন: Ujjwal Nikam: ২৬/১১ মামলার জেরে রাতারাতি শিরোনামে, দুঁদে আইনজীবী ঊজ্জ্বল নিকমকে প্রার্থী করল BJP
২০২০ সালের ওই গোহত্যা প্রতিরোধ (সংশোধিত) আইনের আওতায় গোহত্যা থেকে গরু বিক্রি, সবেতেই কড়া বিধি-নিষেধ আনা হয়েছে। একবারের বেশি যদি কারও বিরুদ্ধে গোহত্যার অভিযোগ ওঠে, সেক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা আরও কঠোর। গোহত্যা এবং গরুপাচারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সাজা ৩ বছরের জেল এবং ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা। গোবংশের কোনও রকম ক্ষতিসাধনে কমপক্ষে এক বছরের জেল, ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
গরুপাচারের ক্ষেত্রে যদি হাতেনাতে ধরা পড়েন কেউ, সেক্ষেত্রে গোপালনের এক বছরের খরচ-খরচা আদায় করা হবে যে গাড়ি গরুপাচারে ব্যবহৃত হবে, তার মালিক, চালকের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের বিধান রয়েছে। নিষিদ্ধ মাংস গাড়িতে তোলার কথা জানতেন না বলে যদি প্রমাণ করতে না পারেন গাড়ির মালিক এবং চালক, তাঁদেরও দোষী ধরা হবে। বাজেয়াপ্ত করা হবে গাড়ি। জামিন অযোগ্যধারায় মামলা হবে।