পশ্চিমবঙ্গে ঘোষিত হল বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরি, কেরলের ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করল কমিশন। অসম ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যগুলিতে এক দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। অসমের ১২৬ আসনের ভোটগ্রহণ হবে তিন দফায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে আট দফায়। ২৭ মার্চ ভোট শুরু হবে রাজ্যে। অষ্টম তথা শেষ দফার ভোট গ্রহণ করা হবে ২৯ এপ্রিল। প্রায় ৩২ দিন ধরে রাজ্যে চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। বাকি রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলায় ভোট গণনা ২ মে।
কমিশন নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে দফা ঘোষণা করেছেন তাকে মান্যতা দিচ্ছি। অসম, কেরলে, তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট। পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট কেন ? কাকে সুবিধা করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন ।
তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, প্রত্যেক দফায় এক একটি জেলায় অর্ধেক ভোট কেন ?
জেলাকে পার্ট ওয়ান, পার্ট টু কেন ?
দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে তিন ভাগে কেন ভাগ করা হয়েছে ?
মোদি ও অমিত শাহ কি ঠিক করে দিয়েছে ?’
৩২ দিনের খেলা খেলবে ?
‘আপনাদের হারিয়ে ভূত করে দেব ?
মমতা বলেছেন, ‘বাঙালি বাঙালিতে ভাগ করছেন, হিন্দু-মুসলিম ভাগ করছেন।
আমাদের জোর বেশি, তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিন দফায় ভোট ?’
তিনি বলেছেন, ‘সব চক্রান্ত ভেঙে দেব। বহিরাগত গুণ্ডারা বাংলা শাসন করবে না। বাংলার মানুষ বাংলা শাসন করবে।
মমতা বলেছেন, লোকসভা ভোটে কি করেছিলেন বিবেক দুবে, আমরা জানি।
কেন্দ্রীয় সরকার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে না’
‘ভোটে অবাধ টাকা বন্ধ করুক কমিশন।
মমতা বলেছেন, বিজেপির হাতে এজেন্সি আছে।
‘ভোটের আগে এজেন্সির অপব্যবহার করা হচ্ছে।
যত নেতাকে নিয়ে আসুন, আমরা ঘরে বাসন মাজার লোক।
এত ভয়, বাংলাকে অসম্মান করা হয়েছে। নির্বাচনের পরে আমাকে সেরাকে সম্মান দেবেন।’