নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ২০০৬, ২০১১, ২০১৬ প্রতিবারই দফা বেড়েছিল ভোটের। বাংলার নজর ছিল এবারও কি সেই দফা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখবে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন ঘোষণা করতে এসে সুনীল অরোরা জানালেন, আট দফায় ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গে, যা ২০১৬-র থেকে এক দফা বেশি।

  


পশ্চিমবঙ্গে ঘোষিত হল বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরি, কেরলের ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করল কমিশন। অসম ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যগুলিতে এক দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। অসমের ১২৬ আসনের ভোটগ্রহণ হবে তিন দফায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে আট দফায়। ২৭ মার্চ ভোট শুরু হবে রাজ্যে। অষ্টম তথা শেষ দফার ভোট গ্রহণ করা হবে ২৯ এপ্রিল। প্রায় ৩২ দিন ধরে রাজ্যে চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। বাকি রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলায় ভোট গণনা ২ মে।


 


 পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় ভোট ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ ২৭ মার্চ। এই পর্বে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পার্ট ১, পূর্ব মেদিনীপুর পার্ট ১-এ ভোটগ্রহণ করা হবে।


পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফায় ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।  দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ ১ এপ্রিল।  এই পর্বে পশ্চিম মেদিনীপুর (২), পূর্ব মেদিনীপুর (২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১)-এ ভোট গ্রহণ করা হবে।


তৃতীয় দফায় ৩১টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।  ৬ এপ্রিল হবে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এই দফায়  হাওড়া পার্ট ১, হুগলি পার্ট ১, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পার্ট ২-তে ভোটগ্রহণ করা হবে।


চতুর্থ দফায় ৪৪টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ ১০ এপ্রিল।এই পর্বে ভোটগ্রহণ করা হবে ‘হাওড়া পার্ট ২, হুগলি পার্ট ২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পার্ট ৩, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে।


পঞ্চম দফায় ৪৫ টি আসনে  ভোটগ্রহণ ১৭ এপ্রিল। এই দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে উত্তর ২৪ পরগনা পার্ট ১, নদিয়া পার্ট ১, পূর্ব বর্ধমান পার্ট ১, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে।


ষষ্ঠ দফায় ৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ ২২ এপ্রিল। এই দফায় নদিয়া পার্ট ২, পূর্ব বর্ধমান পার্ট ২, উত্তর দিনাজপুরে ভোট হবে।


সপ্তম দফায় ৩৬টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ ২৬ এপ্রিল। এই পর্বে মালদা পার্ট ১, মুর্শিদাবাদ পার্ট ১, পশ্চিম বর্ধমান, কলকাতা দক্ষিণ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ভোট হবে।


‘অষ্টম দফায় ৩৫টি আসনে ভোটগ্রহণ ২৯ এপ্রিল। এই পর্বে থাকছে মালদা পার্ট ২, মুর্শিদাবাদ পার্ট ২, বীরভূম, কলকাতা উত্তর।