কলকাতা:  দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লড়াই তামিলনাড়ুতেও। এই রাজ্যের ২৩৪ আসনে গত ৬ এপ্রিল ভোট হয়েছে। ভোট গণনা ২ মে। তার আগে আজ বুথ ফেরত সমীক্ষা। কী বলছে সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা? কী ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্যান্য EXIT POLL? বাংলার বিধান, এবিপি আনন্দে সন্ধে ৬ টায়।
এবার তামিলনাড়ুতে জোর টক্কর ক্ষমতাসীন আইএডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন জোটের।  কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করছে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে। অন্যদিকে, বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভোটের আসরে এআইএডিএমকে। সেইসঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছে চলচ্চিত্র তারকা কমল হাসনের দলও।


ভোট গণনা ২ মে। তার আগে দেখে নেওয়া যাক ২০১৬ তে তামিলনাড়ুর পঞ্চদশ বিধানসভা আসনের ফলাফলের দিকে। ২০১৬-র ১৬ মে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল ২৩২ আসনে। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা। ১৯৮৪-র পর প্রথম কোনও ক্ষমতাসীন  দল হিসেবে কুর্সিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল জয়ললিতার নেতৃত্বাধীন এআইএডিএম-কের। যদিও শক্তি কিছুটা কমে গিয়েছিল এআইএডিএমকে-র। অন্যদিকে, যত আসনে লড়াই করেছিল, তার অর্ধেক জিতে দারুণ ফল করেছিল ডিএমকে। কিন্তু শরিকদের খারাপ ফলাফলে মসনদ দখল থেকে দূরেই থাকতে হয় তাদের। কংগ্রেস যতগুলি আসনে লড়াই করেছিল, তার মাত্র ১৬ শতাংশ আসনে জয় পেতে সক্ষম হয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগণনা হয়েছিল ১৯ মে। 
২০১১-র নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন জয়ললিতা। 
২০১৬-তেই শেষবারের মতো নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন জয়ললিতা। সেইসঙ্গে ডিএমকে নেতা এম করুণানিধিরও ছিল শেষ নির্বাচন। জয়ললিতা ২০১৬-তে ও করুনানিধি ২০১৮-তে মারা গিয়েছিলেন। 
২০১৬-র নির্বাচনে ১৩৬ আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল এআইএডিএমকে। ডিএমকে ৮৯ ও কংগ্রেস ৮ আসনে জয়ী হয়েছিল। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ পেয়েছিল ১ টি আসন।
২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ১৪ আসন কম পেয়েছিল এআইএডিএমকে। অন্যদিকে, ৬৬ আসন বেশি পেয়েও ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল ডিএমকে-কে।