কলকাতা:  ভোটের আগে ফের আইপিএস, আইএএস পদে বদলি করল নির্বাচন কমিশন। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে বদলি করল কমিশন। বদল করা হল কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে পদেও। এছাড়া, কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ও এডিজি পশ্চিমাঞ্চলকে বদলি করেছে কমিশন। পাশাপাশি, ডায়মন্ডহারবারের এসপিকেও বদলি নির্বাচন কমিশনের। 


এর আগে, কমিশনের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে পাঠানো হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম লিমিটেড বা WBSEDCL-এর নিরাপত্তা ও নজরদারি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা পদে। 


বীরেন্দ্রকে যে পদে পাঠানো হল, এতদিন সেই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন আইপিএস অফিসার অজয় রানাডে।সহ একাধিক আইপিএস ও আইএএসকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। 


রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদে থাকা বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে একাধিকবার পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। সূত্রের দাবি, সম্প্রতি রাজ্যে এসে  বিভিন্ন পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ জমা পড়েছে, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। 


এরপরই নজিরবিহীনভাবে  ডিজি পদে রদবদল করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাঁর জায়গায় নতুন ডিজি করা হয় নীরজনয়ন পাণ্ডেকে। 


আর নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়ে, বীরেন্দ্র এমন জায়গায় বদলি হলেন, যেখানে নির্বাচনী কার্যকলাপের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক নেই। ১৯৮৫ ব্যাচের IPS অফিসার বীরেন্দ্রর জায়গায় আসা নীরজনয়ন ১৯৮৭ ব্যাচের IPS অফিসার। 


তিনি প্রায় ৮ বছর সিবিআইতে কর্মরত ছিলেন। এরাজ্যে সিআইডি এবং রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। এদিকে, DGP-র আগে ADG আইনশৃঙ্খলা পদেও রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশন। 


এডিজি আইনশৃঙ্খলা তথা বিধানসভা ভোটের নোডাল অফিসার জাভেদ শামিমকে পাঠানো হয় ডিজি দমকল পদে। তাঁর জায়গায় এডিজি আইনশৃঙ্খলা করা হয় জগমোহনকে।


গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের নির্দেশের আগেই কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দেয় রাজ্য প্রশাসন। অনুজ শর্মার জায়গায় নতুন সিপি করা হয় সৌমেন মিত্রকে। এডিজি-সিআইডি হয় অনুজ শর্মাকে। 


নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করতে রাজ্য প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।